
উত্তর কোরিয়ার নারীরা কারাগারে ধর্ষণের শিকার
উত্তর কোরিয়ার কারাগারে আটক নারীরা নিরাপত্তা রক্ষী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে নির্যাতন, ধর্ষণ ও ‘একাধিক ও গুরুতর’ সহিংসতার শিকার। শতাধিক নারীর দেওয়া নির্যাতনের বিবরণ সম্বলিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার জাতিসংঘ প্রকাশ করেছে।
যেসব নারী ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া থেকে পালাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকে দেশটির সরকার কারাগারে পাঠিয়েছিল। মুক্তির পর এদের প্রায় সবাই দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সেখানে তারা জাতিসংঘ তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে উত্তর কোরিয়ার আটককেন্দ্র ও বন্দিশিবিরগুলোতে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।
অনেকে জানিয়েছেন, এখনও তারা ‘শরীরে ব্যথা অনুভব করেন’। তাদেরকে শারীরিক নির্যাতন, আক্রমণাত্মক দেহতল্লাশি, জোরপূর্বক গর্ভপাত এমনকি কর্তৃপক্ষের হাতে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে।
এক নারী বলেছেন, ‘আমি ঘুমাতাম না এবং কাজ করতাম না। কারণ আমি মার খেতে চাই নি। এটা এতটাই যন্ত্রণাদায়ক ছিল যে আমি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলাম।’
২০১০ সালে আটক হওয়া আরেক নারী জানান, আটক কেন্দ্রে যাওয়ার প্রথম দিনই তিনি এক কর্মকর্তার হাতে ধর্ষণের শিকার হন।
তিনি বলেন, ‘সে আমাকে হুমকি দিয়েছিল, তাকে প্রত্যাখ্যান করলে আমাকে অপদস্থ করা হবে। আমাকে এটাও বলেছিল, আমি সম্মত হলে সে আমার তাড়াতাড়ি মুক্তির ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।’
এসব অভিযোগের ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার কোনও মন্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে এর আগেও নির্যাতনের অভিযোগকে উত্তর কোরিয়া ‘অসত্য ও পাঁতানো’ বলে দাবী করেছিল।
উত্তর কোরিয়ায় সংবাদমাধ্যমে কড়া নজরদারি থাকায় সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত মুশকিল। এ কারণে দেশটির কোনও দাবী বা সংবাদের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় না।
প্রতিবেদনের সহলেখক ও জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মকর্তা ড্যানিয়েল কলিঞ্জ জানান, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পিয়ংইয়ংয়ের ওপর চাপ প্রয়োগ করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।❑