চীনকে পেছনে ফেলে করোনা আক্রান্তে এগিয়ে গেল ভারত
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তারে এর উৎপত্তিস্থল চীনকে পেছনে ফেলেছে ভারত। এ ভাইরাসে চীনে যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছে তার চেয়ে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন বেশি।
ভারতে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজার ৯৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও ডিসেম্বরের শেষে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুবেইয়ে প্রাদুর্ভাব শুরু পর দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৯৩৩ জন।
১৫ মে শুক্রবার ভারতের রাজ্য সরকারগুলোর স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যের বরাতে এ খবর জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এতে বলা হয়, আক্রান্তের দিক দিয়ে চীনকে ছাড়িয়ে গেল ভারত। নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের বিশ্বে ভারতের অবস্থান এখন এগারোতম।
তবে প্রতিবেশী চীনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার এখনও কিছুটা কম। চীনে করোনায় মৃত্যুর হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হলেও ভারতে তা ৩ দশমিক ২ শতাংশ।
ভারতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩০ হাজার ২৩৪ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন।
অপরদিকে সামলে উঠেছে চীন। দেশটিতে এখন সক্রিয় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা মাত্র ১০০ জন। আক্রান্ত ৮২ হাজার রোগীর মধ্যে ৭৮ হাজারের বেশি সুস্থ হলেও দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে আক্রান্ত ১৪ লাখ ৮৪ হাজারের মধ্যে ২৮৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
শুক্রবার ভারতজুড়ে ৪ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। কাশ্মীর থেকে শুরু করে কেরালা এবং কর্ণাটক থেকে শুরু করে বিহার পর্যন্ত ব্যাপকহারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের।
এদিকে গতকাল দেশটির চলমান লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে মোদি বলেছেন, সম্পূর্ণ ভিন্নরকম ভাবে লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে।
ভারতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে লকডাউন আরও বাড়াবেন বলে ঘোষণা দিলেও দেশটির চতুর্থ দফার এই লকডাউনে বিধিনিষেধ আরও বেশি শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
তবে এতে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।◉