
নিউ ইয়র্কে ‘পাঠাও’য়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুন
নিউ ইয়র্ক: বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘পাঠাও’য়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ নিজ অ্যাপার্টমেন্টে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের ম্যানহাটন এলাকার নিজ বাসা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
নির্ভরযোগ্য এক সূত্র জানায়, ফাহিম সালেহ’র কর্মচারী ও বন্ধু বান্ধব ক্যালিফোর্নিায়াতেও কাজ করেন। তাদের কজন ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাচ্ছিল না। তখন তারা ব্রঙ্কসে ফাহিমের খালার বাসায় কল দেন।
জানা গেছে, ফাহিমকে দেখতে তার খালাতো বোন যান। তিনি ফাহিমের কোনও শব্দ না পেয়ে পুলিশকে ফোন করেন। ১৪ জুলাই মঙ্গলবার ফাহিম সালেহর কাজিন পুলিশকে ফোন করে জানালে বেলা সাড়ে তিনটায় পুলিশ এসে বাংলাদেশি-আমেরিকান তরুণ ব্যবসায়ী ফাহিম সালেহ’র লাশ ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্ট সাইড অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, বর্ণনা অনুযায়ী লাশের কাছে একটি বৈদ্যুতিক করাত পাওয়া গেছে। লাশের বাহু ও হাঁটুর নীচ থেকে কেটে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। অ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া প্লাস্টিক ব্যাগে এবং শরীরের অংশগুলো পাওয়া গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ নাইজেরিয়া ভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ ‘গোকাদা’র সিইও।
রেকর্ডে দেখা গেছে ফাহিম সালেহ ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টেটি গেল বছর ২২ লক্ষ ২৫ হাজার ডলারে কিনেছিলেন। ওই অ্যাপার্টমেন্টে তিনি একা থাকতেন। ফাহিমের একটি কুকুর রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম পড়াশোনা করতেন ফাহিম।
সূত্র জানায়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
ফাহিমকে সর্বশেষ সোমবার দুপুর একটা চল্লিশ মিনিটের দিকে সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গিয়েছিল। তখন তিনি ভবনের লিফটে প্রবেশ করেছিলেন, যা তার সাত তলার অ্যাপার্টমেন্টে ঠিক পাশেই খোলা হয়েছিল।
ফাহিম সালেহ’র কাজিন আতাউর বাবু জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রেই ফাহিম সালেহর জন্ম। তার বাবা- মা নিউ ইয়র্কের পোকেএসপিতে থাকেন। তার আরও দুই বোন রয়েছে। ফাহিম সালেহ কম্পিউটার সাইন্সে গ্যাজুয়েশন করেছেন।
ফাহিম বাংলাদেশে বেড়তে গেলে ট্রাফিক জ্যাম দেখে ওপরই রাইড শেয়ারিং ‘পাঠাও’ নামে একটি সফটওয়ার ডেভেলপ করেন।
কবে, কারা এবং কি করণে ফাহিমকে খুন করেছে সে বিষয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। ফাহিমের কুকুরটিকে বন্ধ করে রাথা হয়। পুলিশ ফাহিমের মৃত্যুর বিষয় তদন্ত করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কোনও সূত্র পায় নি। ❑