
পদ্মা সেতু ভাগ্য খুলে দিয়েছে কাশিয়ানীর নারীদের
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হিরন্যকান্দি গ্রাম। সেই গ্রামের ভেতর আছে শতবছরের বেশি একটি আমগাছ। যার ডালপালা বিস্তৃত হয়ে চমৎকার শৈল্পিক রূপ ধারণ করেছে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর সেই গাছের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। পর্যটকরা সেতু দেখতে গিয়ে ভাঙ্গা হয়ে কাশিয়ানীর হিরন্যকান্দি ঘুরতে যান। সেখানে শতবর্ষী আমগাছটিও দেখে আসেন। প্রতিদিন কয়েকশ দর্শকের সমাগম ঘটে সেখানে।
শতবর্ষী আমতলায় হরেকরকম আচারের দোকান চালান মঞ্জুয়া বেগম। পদ্মা সেতু ত্রিশ বছরের সেই নারীরও ভাগ্য খুলে দিয়েছে। আগে দৈনিক তার আচার বিক্রি হতো এক থেকে দেড় হাজার টাকা। এখন পর্যটক বেড়ে যাওয়ায় তা দাঁড়িয়েছে দৈনিক আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। শনিবার ২৩ জুলাই একদিনেই বিক্রি হয়েছে আট হাজার টাকার আচার। মঞ্জুয়ার সরল ভাষ্য, পদ্মা সেতুই শুধু হয় নাই আমার কপাল খুলছে। মাসে হিসাব করলে আয় হবে আশি থেকে নব্বই হাজার টাকা। সরকারি চাকরিজীবীরা কত বেতন পায়-প্রশ্ন মঞ্জুয়ার! আমি আপনাদের মতো শিক্ষিত না এটা ঠিক, তবে মূর্খ না। আমার মেয়ে লেখাপাড়া করে-সফেদ দাঁত বের করে হাসে মঞ্জুয়া। সেই হাসি পদ্মা সেতু আলোর ঝিলিকের চেয়ে কম নয়।