
মাস্ক পরা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন অবস্থান
কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরও মাস্ক পরার ঘোর বিরোধী ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়েও ছিলেন কিছুতেই মাস্ক পরবেন না। সেই অবস্থান থেকে সরাসরি ঘুরে দাঁড়ালেন ট্রাম্প নিজেই।
এখন ট্রাম্প বলছেন মাস্ক পরা ভালো। তিনি মাস্ক পরার পক্ষে।
বুধবার ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, মাস্ক পরার ব্যাপারে আমি পুরোপুরি একমত এবং আমি মনে করি, মাস্ক পরা ভালো।
করোনাভাইরাসকে শুরু থেকেই গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে ছিলেন না ট্রাম্প। তিনি ছিলেন এটিকে সাধারণ ফ্লু হিসেবে দেখার পক্ষে। রোজ হাজার হাজার মানুষ মহামারীতে মারা গেলেও নিজ অবস্থানে অনড় থাকেন ট্রাম্প।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে আজ পর্যন্ত একদিনও কোনও জনসমাগমে মাস্ক পরতে দেখা যায় নি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এমনকি এই ভাইরাসের মধ্যেই নির্বাচনী সমাবেশ করে যাচ্ছেন। মাঠ ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন।
শুরুতে তো বলে আসছিলেন সবার মাস্ক পরার দরকারও নেই। এবার সে অবস্থান থেকে সরে এলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। জানালেন, তিনি দৃঢ়ভাবেই মাস্ক পরার পক্ষে, নিজেরও পরতে সমস্যা নেই!
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার দরকার আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাব সরাসরি না দিয়ে ট্রাম্প বলেন, দেশে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে মানুষজন এমনিতেই অনেক দূরে দূরে অবস্থান করে।
সম্প্রতি করোনায় বিপর্যস্ত টেক্সাস সফরসহ বেশ কয়েকবার মাস্ক পরতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে। কিন্তু ট্রাম্পকে একবারও জনসম্মুখে মাস্ক পরতে দেখা যায় নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দাবি মানুষ তাকে একবার মাস্ক পরা অবস্থায় দেখেছে- এটা ছিল ডার্ক ব্ল্যাক মাস্ক। আমার মনে হয়েছি, মাস্কের রঙটা ঠিক আছে। দেখতে নিঃসঙ্গ সৈনিকের মতো মনে হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে কর্মীদের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে নিজে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ট্রাম্প জানালেন, তার সংস্পর্শে আসার আগে অধিকাংশ মানুষেরই কভিড-১৯ টেস্ট করা হয়।
সর্বশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড ৫২ হাজার বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মোট আক্রান্ত ২৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার। কিন্তু ট্রাম্পের দৃঢ় বিশ্বাস, দ্রুতই করোনাভাইরাস নির্মূল করবে তার দেশ।
ট্রাম্প করোনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না বোঝালেও নিজে কিন্তু ভয়ে আছেন। রোজ করোনা টেস্ট করান। কিন্তু তিনি আবার টেস্ট কমিয়ে দেওয়ার পক্ষে। সবমিলিয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে তার অবস্থান এখন ধোঁয়াশার মতো। ⛘