সংসদীয় কমিটিতে জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমা প্রার্থনা
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে অর্থনীতি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির মুখোমুখি হতে হয়েছে। দেশের ৩৫ হাজার স্কুলছাত্রকে সরকারি অনুদানের অর্থ বিতরণের জন্য ‘উই চ্যারিটি’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে তাকে সংসদীয় কমিটির সভায় ডাকা হয়। কমিটির সদস্যরা তাকে দেড় ঘণ্টা ধরে জেরা করেন। এসময় তিনি ক্ষমা চান সংসদীয় কমিটির কাছে।
জাস্টিন ট্রুডো বলেন, উই চ্যারিটির সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কের কারণে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ এর বিধি ভঙ্গ হয়নি। তবে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে উই চ্যারিটিকে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নিজেকে মন্ত্রিসভা কমিটির বাইরে না রাখার কারণে তিনি ক্ষমা চান।
ট্রুডো এর আগেও ‘উই চ্যারিটিকে কাজ দেওয়ার’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নিজেকে ক্যাবিনেট সভার বাইরে রাখতে না পারার কারণে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
ট্রুডোর বিরুদ্ধে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ এর অভিযোগে ইথিকস কমিশন আলাদা তদন্ত করছে। একই সঙ্গে সংসদীয় কমিটিও তদন্ত করছে। ট্রুডোর স্ত্রী চ্যারিটি সংস্থার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন, ট্রুডোর মা,যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী এবং ট্রুডোর ভাই পেশাদার বক্তা হিসেবে এই সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন সম্মানীর বিনিময়ে।
জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কানাডার আইনে পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী এবং নির্ভরশীল সন্তানদের বোঝায়। তার স্ত্রী সোফি ট্রুডো ‘উই চ্যারিটিতে’ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্নস্থানে যাতায়াতের জন্য তিনি যে অর্থ সেখান থেকে পেয়েছেন সেটি বিধিভঙ্গ করেনি মর্মে ইথিকস কমিশন ছাড় দিয়েছে।
নিজের মা এবং ভাইয়ের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে ট্রুডো বলেন, তারা নিজ যোগ্যতায় এবং পরিচয়ে কানাডার বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত।
ট্রুডোর বিরুদ্ধে অভিযোগ- তার পরিবারের সদস্যরা যে প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পারিশ্রমিক নিয়েছেন- সেই প্রতিষ্ঠানকে সরকারি কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ট্রুডোর উপস্থিত থাকাটা ঠিক হয়নি। অর্থ্যাৎ, ক্যাবিনেট মিটিং থেকে তার অনুপস্থিত থাকা উচিত ছিল। সেটা তিনি করেননি বলেই তাকে এখন আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে।❑