অবৈধভাবে তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারি নিষিদ্ধ করেছে চীন
অবৈধভাবে মানুষের তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারি চালানো নিষিদ্ধ করেছে চীন। মূলত নিজেদের অ্যাপ টিকটককে কেন্দ্র করে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি।
টিকটক অ্যাপটির ব্যবহারকারীদের তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কী করছে এমন অবস্থান থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
চীনের অভিযোগ, তাদের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে ‘নগ্নভাবে হয়রানি’ করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রও অনেকটা একই ধরনের তথ্য গোপন প্রচেষ্টার ব্যাপারে জানিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সে তথ্য গোপন প্রচেষ্টার নাম ছিল ‘দ্য ক্লিন নেটওয়ার্ক’।
টিকটক, হুয়াওয়ে এবং উইচ্যাটকে কেন্দ্র করে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন চেষ্টা করেছে নিরাপত্তা উদ্বেগের দোহাই দিয়ে হুয়াওয়ের মতো চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং টিকটক ও উইচ্যাটের মতো চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে।
চীনের স্টেট কাউন্সিলর ওয়্যাং ই বলেছেন, কিছু কিছু দেশ হিংস্রভাবে একচেটিয়া আচরণ দেখাচ্ছে, অন্য দেশের ওপর ময়লা পানি ফেলছে ‘পরিষ্কারকরণের’ নামে এবং নিরাপত্তার নামে নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক শিকারে নেমেছে। এটি নগ্ন হয়রানি, এর বিরোধিতা করতে হবে এবং একে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার ওয়াং আরও জানিয়েছেন, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে ‘ব্যাকডোর’ না বানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে নতুন নির্দেশিকায়। ব্যাকডোর মূলত প্রতিষ্ঠানের ডাটা, নেটওয়ার্ক ও সেবায় প্রবেশের গোপন পথ। চীনা টেলিকম সেবাদাতা হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে অনেকবার ‘ব্যাকডোর’ রাখার অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিজ দেশের কোনও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে অন্য দেশে বড় মাপের নজরদারি চালাতে বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিদেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করতে নিষেধ করেছে চীনের নতুন বৈশ্বিক ডাটা নিরাপত্তা পরিকল্পনা।
গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ক্লিন নেটওয়ার্ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে চীনা টেলিকম প্রতিষ্ঠান, অ্যাপস ও ক্লাউড সেবাদাতাকে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের ইন্টারনেট কাঠামো থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।❐