অ্যাসাঞ্জের কারাদণ্ড
রূপসী বাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহের কারাবাসের নির্দেশ দিল ব্রিটেনের আদালত। জামিনের শর্ত না-মানায় তাঁকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
গত ১১ এপ্রিল লন্ডনের ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিস। ২০১২ সালে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। ওদিকে সুইডেনে ২০১০ সালে দায়ের এক শ্লীলতাহানির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ব্রিটিশ সরকার। গ্রেফতারির পর অ্যাসাঞ্জের প্রত্যার্পণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে ৫০ সপ্তাহ কারাবাসের সাজা শোনাল ওয়েস্টমিনস্টান আদালত।
উইকিলিকস নামক ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মার্কিন প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একাধিক গোপন নথি ফাঁস করেন। সুইডেনের নাগরিক অ্যাসাঞ্জের ফাঁস করা নথির জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে একাধিক দেশের তাবড় নেতাদের।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা মার্কিন দূতাবাসগুলোর গোপন তারবার্তা উইকিলিকসে প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে দেন অস্ট্রেলিয়ান এই নাগরিক। সেই বার্তায় মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন তথ্যও ফাঁস হয়ে যায়। এরপর থেকেই অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতার চেয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।
২০১২ সালে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। পরে সেখানে দূতাবাসের ভেতরেই থাকে কাটাতে হয় সাতটি বছর; বের হওয়ার কোনো উপায় ছিল না; গ্রেফতার হবেন বলে।
অপরদিকে, একইসময় সুইডিশ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উত্থাপন করে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল সেসময় থেকেই। এ নিয়ে কয়েক দেশের মধ্যে তুমুল বিতর্ক ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ডে জন্ম নেওয়া জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ একজন প্রোগ্রামার, যিনি আলোচিত প্রচার সংস্থা উকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ‘গোপন নথি ফাঁস’ করে বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও সমালোচিত।