করোনা: বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি ২ লাখ ৪৬ হাজার, আক্রান্ত ৩৫ লাখ ২৫হাজারের বেশি
করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ৮৫৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর এতে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৬ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছে ১১ লাখ ৪২ হাজার ৭৮৭ জন রোগী।
করোনার প্রাদুর্ভাব চীনে শুরু হলেও এতে বিপর্যস্ত হওয়ার শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মহামারি করোনাভাইরাস। সেখানে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৯৬৮ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৬৯ হাজার ২৬১ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছেও নেই কোনও দেশ।
করোনায় মৃতের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ ইটালি। দেশটিতে ২৮ হাজার ৮৮৪ জন করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন। ইটালিতে একদিনে ৪৭৪ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন। গত ২১ এপ্রিলের পর দেশটিতে একদিনে এতো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। আর এতে আক্রান্ত হয়েছে মোট ২ লাখ ১০ হাজার ৭১৭ জন।
এদিকে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৬২১ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৮ হাজার ১৩১ জনে। আর এর মাধ্যমে করোনায় বিপর্যস্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গেছে দেশটি। ফেব্রুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার ২৬০ জন।
২ লাখ ৭৫ হাজার ১২২ জন আক্রান্ত নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিতে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে ২৫ হাজার ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহে স্পেনে তুলনামূলক করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসায় দেশটিতে লকডাউন শিথিল করে খুলে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় খাত। লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিলের পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে স্পেন।
করোনায় বিপর্যস্ত ইউরোপের আরেকটি দেশ ফ্রান্স। এ পর্যন্ত দেশটির ২৪ হাজার ৭৬০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। আর এতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৬ জন। তবে আগের তুলনায় দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক নথি প্রকাশ করে জানিয়েছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে ১০২টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন (প্রতিষেধক) তৈরির কাজ চলছে। এর মধ্যে ৮টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে।
প্রথম ৭টি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ (হিউম্যান ট্রায়াল) করা হয়েছে। নতুন করে নথিভূক্ত হওয়া চীনের ওই ভ্যাকসিন এখনো মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা তা সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই অঙ্গ সংস্থাটি।◉