জিনস-টপস পরায় কিশোরীকে পিটিয়ে হত্যা
ভারতের উত্তর প্রদেশে ‘আধুনিক’ পোশাক পরায় পরিবারের সদস্যদের নির্মম পিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছে এক কিশোরী। ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর অপরাধ- সে জিন্স পরেছিল, আধুনিকতায় বিশ্বাসী ছিল।
মর্মান্তিক ও অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক করেছে পুলিশ। দাদু ও চাচার নির্মম পিটুনিতে প্রাণ দিতে হলো তাকে। এমনকি হত্যাকাণ্ডের পর অপরাধ ঢাকতে কিশোরীর মরদেহ অভিযুক্তরা ফেলে দেয় পানিতে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ভারতে বাড়ির ভেতরেই নারী ও কিশোরীরা কতটা অনিরাপদ, এই ঘটনা সেটাই সামনে এনে দিয়েছে।
নেহা পাশওয়ানের মা শকুন্তলা দেবী পাশওয়ান বিবিসিকে জানান, ‘নেহার দাদুবাড়ি উত্তর প্রদেশের দেওরিয়া জেলার সাবরেজি খড়গ গ্রামে। দাদুর বাড়িতে নেহার আধুনিক পোশাক পরা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। মারধরের একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তখন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও পথেই মারা যায় নেহা।
ঘটনা আড়াল করতে নেহার মরদেহ সেতু থেকে পানিতে ছুড়ে ফেলা হয়। কিন্তু মরদেহ পানিতে না পড়ে সেতুরই একটা অংশে আটকে যায় এবং ঝুলতে থাকে। পুলিশ পরে সেখান থেকে নেহার মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত কিশোরীর মামা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে তার দাদুসহ চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত নেহার দাদা-দাদি, চাচা-চাচি, চাচাতো ভাই ও মরদেহ বহন করা অটোরিকশার চালকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।