যুক্তরাষ্ট্র

ডোনাল্ড ট্রাম্প পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসা পেয়েছেন

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওষুধ ও চিকিৎসা সুবিধা পেয়েছেন তা পাওয়ার সুযোগ-সুবিধা নেই আমেরিকানদের

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাত্র তিনদিনের মাথায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়তে পেরেছেন।

তার চিকিৎসকরা দাবী করেছেন, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসাটা পেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মতো এমন চিকিৎসা পৃথিবীর আর কেউই পায় নি।

তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই সম্ভবত ‘পৃথিবীর একমাত্র করোনা রোগী’ যিনি সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসা পেয়েছেন। সুস্থ হয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরেই কোটি কোটি মার্কিনিকে করোনার অভয়বাণী শুনিয়েছেন।

বলেছেন, ‘করোনায় মোটেই ভয় পাবেন না। ২০ বছর আগে আমি যেমন সুস্থ ছিলাম। তার চেয়ে বেশী সুস্থ বোধ করছি।’

কিন্তু যে বিষয়টি তিনি প্রকাশ করেন নি সেটা হচ্ছে, তিনি যে ওষুধ ও চিকিৎসা সুবিধা পেয়েছেন তা পাওয়ার সুযোগ-সুবিধা নেই আমেরিকানদের।

শুক্রবার রাতে করোনা আক্রান্ত ট্রাম্পকে মেরিল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার করোনার হালকা কিছু উপসর্গ ছিল। আগে থেকেই চিকিৎসাও চলছিল তার।

সিএনএন জানায়, হাসপাতালের ভর্তির আগেই তাকে বায়োটেক কোম্পানি রিজেনারনের পরীক্ষামূলক এন্টিবডি থেরাপি দেয়া হয়েছিল।

এই থেরাপি করোনা ভাইরাসের লেভেলকে কমিয়ে আনে এবং এটা আগেই ২৭৫ জন রোগীর ওপর পরীক্ষায় প্রতিশ্রুতিশীল ফল দেখিয়েছিল। তবে এই চিকিৎসাকে মার্কিন ওষুধ প্রশাসন ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদন দেয় নি।

রিজেনারন বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চিকিৎসকদের অনুরোধেই তারা ওই ওষুধটি সরবরাহ করা হয়। করোনায় গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন দুই লাখ ১০ হাজারের মতো নাগরিক।

অবশ্যই তারা ট্রাম্পের মতো এই ধরনের চিকিৎসা পাননি। ট্রাম্প এক্ষেত্রে যে সুবিধা পেয়েছেন, তিনি শুধু সেটা দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেছেন।

হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই ট্রাম্পকে আরও বেশ কিছু চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। ওষুধ হিসেবে দেয়া হয় রেমডিসিভির এবং ডেক্সামেথাসন।

জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিষয়ক প্রফেসর ড. জোনাথন রেইনার বলেন, এই গ্রহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই হয়তো একমাত্র রোগী, যিনি এসব ওষুধের একটি সমন্বিত চিকিৎসা পেয়েছেন। তার জন্যই জরুরিভিত্তিতে রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়।

তিন দিনের মধ্যে দু’বার অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই নেমে গিয়েছিল তার। প্রথম বার অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়েছিল বলেও সূত্রের খবর।

অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভিয়ারের দু’টো ডোজ়ের পাশাপাশি একটি পরীক্ষামূলক অ্যান্টিজেন ককটেল দেয়া হয় ট্রাম্পকে। বাধ্য হয়েই শুরু হয়েছে স্টেরয়েড চিকিৎসা। নিয়মমাফিক চালু ছিল ভিটামিন ডি, জ়িঙ্ক, ফ্যামোটিডিন, অ্যাসপিরিনও।

ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে, রেমডিসিভিরের ৫ দিনের কোর্স অনেক রোগীর সুস্থ হওয়ার গতি ত্বরান্বিত করেছে। রেমডিসিভির দেয়া হয় আইভি পদ্ধতিতে।

তাই কাউকে ৫ দিনের কোর্সের এই ওষুধটি নিতে হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। ওষুধের এই কোর্স শেষ হওয়ার আগেই ট্রাম্পকে সোমবার বাসায় ফেরার অনুমোদন দেন চিকিৎসকরা।❐

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension