প্রধান খবরবাংলাদেশ

নুসরাত হত্যা: সেই নুর উদ্দিন গ্রেপ্তার

রূপসী বাংলা নিউজ ডেস্ক: ফেনীর সোনাগাজীতে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ময়মনসিংহ ব্রাঞ্চ। তার নাম নুর উদ্দিন।

শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলাটিতে মোট ১২ জন গ্রেপ্তার হলেন।

গ্রেপ্তার নুর উদ্দিন নুসরাত জাহানকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তিনি সরাসরি জড়িত বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

৫ এপ্রিল রাতে ও ৬ এপ্রিল ঘটনার দিন সকালে নুর উদ্দিনকে মাদ্রাসার মূল ফটকে দেখা গেছে বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাতের গায়ে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বোরকা ও নেকাব পরা যে চারজন অংশ নেন, তাদের সম্পর্কে নুর উদ্দিন জানতেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি তিনি।

এর আগে গতকাল রাতে এজাহারভুক্ত দুই আসামি সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদ আলমকে ঢাকা থেকে এই জাবেদ হোসেনকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশন (পিবিআই)।

৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। ওই সময় তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করেছে এক ছাত্রীর এমন সংবাদে ভবনের চারতলায় যান তিনি। সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচ ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।

চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাত জাহান রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

মামলার নামীয় আসামিরা হলো অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদদৌলা, পৌর কাউন্সিলর মকসুদুল আলম, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, মাদরাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নুর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহম্মদ ও হাফেজ আবদুল কাদের।

হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা সাত দিনের রিমান্ডে আছেন। এছাড়া ওই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন এবং নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, নুসরাতের সহপাঠী ও মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার ভাগনী উম্মে সুলতানা পপি ও আরেক মাদরাসা শিক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদ পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন।

এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো পলাতক রয়েছেন সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের ওই মাদ্রাসার ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামিম, হাফেজ আবদুল কাদের।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension