বতসোয়ানায় সাড়ে তিনশ’র বেশী হাতির মৃত্যু
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার একটি বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে সাড়ে তিনশ’রও বেশী হাতির মৃত্যু হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে ২৭৫ হাতির মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ন্যাশনাল কংগ্রেস জানিয়েছে এ সংখ্যা চারশ’রও অনেক বেশী।
বোতসোয়ানার সরকার এখনও মৃত প্রাণীর দেহাবশেষ পরীক্ষা করতে পারে নি। তবে সরকার এটিকে ‘সংরক্ষণ বিপর্যয়’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।
উত্তর বোটসওয়ানে সাড়ে তিনশ’রও বেশি হাতির গণহারে রহস্যজনক মৃত্যুকে বিজ্ঞানীরা একে ‘রহস্যময় বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গেল মে মাসের গোড়ার দিকে ওকাভাঙ্গো ডেল্টায় হাতির মৃত্যুর খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। মাসের শেষদিকে ১৬৯টি হাতি মারা গিয়েছিল। জুনের মাঝামাঝি সংখ্যাটি দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়দের কজন জানিয়েছেন, ৭০ ভাগ হাতিরই মৃত্যু হয়েছে পানির উৎসের আশেপাশে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ন্যাশনাল পার্ক রেসকিউয়ের সংরক্ষণের পরিচালক ড. নিয়াল ম্যাককেন বলেন, এ ধরণের গণহারে মৃত্যু সুদীর্ঘ সময় ধরে দেখা যায়নি। খরার কথা বাদ দিলে ঘটনাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
বোতসোয়ানা সরকার এখনও নমুনাগুলি পরীক্ষা করতে পারে নি। ফলে কী কারণে এই মৃত্যুগুলো ঘটছে বা এসব মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে কিনা, সে সম্পর্কেও কোনও তথ্য নেই। দুটি প্রধান সম্ভাবনা হলো বিষক্রিয়া বা একটি অজানা রোগজীবাণু। প্রথমদিকে ধারণা করা হয়েছিল ‘অ্যানথ্রাক্সে’ আক্রান্ত হয়ে এসব হাতি মারা গেছে। কিন্তু পরে এ সম্ভাবনাটি এড়িয়ে গেছে।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার হাতি রয়েছে বতসোয়ানায়। বৃহস্পতিবার বতসোয়ানার ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সিরিল তাওলো আর্ন্তজাতিক ও স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ওকাভাঙ্গো ডেল্টা পার্কের উত্তরাঞ্চলে ৩৫৬টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত আমরা ২৭৫টি হাতির মৃতদেহ নিশ্চিত করেছি। ⛘
দ্য গার্ডিয়ান