বাংলাদেশিরাও ছিল দিল্লির করোনার ‘হটস্পট’ তাবলীগের সেই মসজিদে
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, তাদের তরফে প্রাথমিক একটি তালিকা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যকে পাঠানো হয়েছে। দেশের ১০টিরও বেশি রাজ্য থেকে লোকজন গিয়েছিলেন ওই ধর্মীয় সভায় যোগ দিতে।
কেরালা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গনার মতো দক্ষিণের রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকেও প্রচুর মানুষ গিয়েছিলেন ওই তাবলিগ জামাতে। বাংলাদেশ থেকেও অনেকে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লির মসজিদের ওই সভায়।
আনন্দবাজারের দাবি অনুযায়ী সাহাবুদ্দিন আহমেদ নীরব নামে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার এক বাসিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, সে দেশের অনেকেই ওই ধর্মীয় সভায় যোগ দিয়েছেন। তাদের অনেকেই ভারতে আটকে পড়ে কোলকাতার একটি মার্কেজ (যারা তাবলিগ যাত্রা আয়োজন করেন)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
এ দিন সকালে ‘বিডি গ্রুপ নিজামউদ্দিন’ নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। দিল্লির ধর্মসভায় যোগ দেওয়া বাংলাদেশিরাই ওই গ্রুপের সদস্য। সেই ভিডিওতে বাঙলাওয়ালে মার্কেজের ছবি রয়েছে।
চলতি মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত দিল্লির নিজামউদ্দিনে আলামি মাশোয়ারা নামে একটি ধর্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ১ বছর আগে থেকে ওই ধর্মীয় সভা বা মার্কাজের দিন ক্ষণ নির্দিষ্ট ছিল। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত এবং বিদেশ থেকে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন ওই তাবলিগে।
শুধু বিদেশ থেকেই ধর্মপ্রচারের ওই সভায় এসেছিলেন প্রায় ২৫০ জন। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা থেকে ওই প্রচারকরা এসেছিলেন বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র চিকিৎসক এবং প্রতিনিধিরা ওই ধর্মসভায় যোগদানকারীরা বাঙলাওয়ালে মার্কেজের যেখানে রয়েছেন সেই জায়গা পরিদর্শন করেছেন।
অন্তত ৩শ’ মানুষকে ইতোমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বিদেশ থেকে আসা ধর্মপ্রচারকদের থেকেই কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে সেখানে।
ওই ধর্মীয় সভায় যোগ দেওয়া ফিলিপিন্সের নাগরিক এক ধর্মপ্রচারকের মৃত্যু হয়েছে মুম্বাইতে।♦