যুক্তরাষ্ট্র

‘বাইডেন জিতলে চীনই চালাবে দেশ’: ট্রাম্প

এবার নিজের ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও চীনের কমিউনিস্ট সরকারকে একসঙ্গে নিশানা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনকে ‘ঘুমন্ত’ আখ্যা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, ”ঘুমন্ত বাইডেনের কাছে আমাকে হারাতে চায় চীন। বাইডেন জিতলে আমেরিকাকে আসলে বেইজিংই নিয়ন্ত্রণ করবে।”

শুক্রবার এক এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন।

করোনা সংক্রমণ রোধে ই-মেইলের মাধ্যমে ভোট হলে তাতে চীন, রাশিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের হস্তক্ষেপ করতে সুবিধে হবে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। নির্বাচনে কারচুপি বলে নিজের আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।

তার ভাষায়, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কারচুপি ঠেকাতে’ নভেম্বরের নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাবও করেছেন ট্রাম্প। তার এই প্রস্তাব নিয়ে নিয়ে তার নিজের দলের ভেতরে থেকেই আপত্তি উঠেছে।

ট্রাম্প স্পষ্ট মনে করেন, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে গোটা আমেরিকাকে নিয়ন্ত্রণ করা চীনের জন্য খুবই সহজ হবে। আর বেইজিং সেটাই করতে চায় সব সময়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ”প্রেসিডেন্টের গদিতে কোনও ডেমোক্র্যাট বসলে, দেশটা শাসন করবে চীন-ই।”

জো বাইডেনকে তীর করে চীনের দিকে ছুঁড়েই ক্ষান্ত হননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইরান সরকারকেও এক হাত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, ”ইরানও চায় যাতে বাইডেন জয়ী হয়।”

তবে ট্রাম্পের বক্তব্য, জিতে আবারও ক্ষমতায় এলে তেহরানের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি করবেন তিনি। ”আমি ফিরলে ইরানের সঙ্গে চুক্তির কাজটা দ্রুত সেরে ফেলব। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও তাড়াতাড়ি চুক্তি করে ফেলব। আমি ২০১৬ সালে জিতে না-এলে এত দিনে আমাদের দেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধ বেধে যেত।”

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টারের (এনসিএসসি) পরিচালক উইলিয়াম ইভানিনা হুঁশিয়ার করেছেন, নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিদেশি কয়েকটি রাষ্ট্র তৎপরতা শুরু করেছে। বিশেষ করে তিনটি দেশের নাম করেছেন তিনি – চীন, রাশিয়া এবং ইরান।

গত শুক্রবার এনসিএসসির পরিচালক উইলিয়াম ইভানিনা তার বিবৃতিটি প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কে জিতবে তা নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেরই নিজ নিজ পছন্দ রয়েছে। তবে চীন, রাশিয়া এবং ইরানকে নিয়ে তারা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত।”

“চীন চায়না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবার জয়ী হন, কারণ তারা মনে করে তাকে বোঝা মুশকিল। অন্যদিকে, রাশিয়া মি. বাইডেন এবং মস্কোর ধারণামতে ‘রুশ সরকার-বিরোধী’ রাজনীতিকদের ‘ছোট’ করতে তৎপর।”

মি. ইভানিনা বলেন, মস্কোর সাথে সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান সোশাল মিডিয়ায় এবং টিভিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার কাজ শুরু করেছে।

ইরানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ইরান যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে খাটো করার চেষ্টা করছে, নানা প্রচারণা চালিয়ে আমেরিকান জনমত বিভক্ত করতে তৎপর হয়েছে।”

তিনি বলেন, ইরান মনে করছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুনঃ-নির্বাচিত হলে তিনি ইরানে সরকার পরিবর্তনের জন্য চাপ অব্যাহত রাখবেন।

কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স বিভাগের এই রিপোর্ট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন এই রিপোর্ট খুঁটিয়ে দেখবে।❐

বিবিসি

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension