মাস্ক পরা চেহারা ট্রাম্পের ভাল লাগে না
নিজের চেহারা নিয়েও এখনো দারুণ সচেতন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনার যন্ত্রণায় এই সময় লোক সন্মুখে বেরোতে গেলেই মাস্ক পরতে হয়। কিন্তু নিজের মাস্ক পরা চেহারা একটুও ভালো লাগে না বাহাত্তর পেরুনো এই রাষ্ট্রনায়কের। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলে ফেললেনও সে কথা।
অবশ্য মাস্কের বিরুদ্ধে নিজের বিরাগের কথা যে এই প্রথম বললেন তিনি, তা নয়। গত মাসেও একবার বলেছিলেন, তার ধারণা, মাস্ক পরা অবস্থায় বিশ্বনেতাদের সঙ্গে দেখা করলে তাদের ওপর ইতিবাচক কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না তিনি। মুখোশপরা অবস্থায় আমি রাণী, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীদের অভিবাদন জানাচ্ছি, ভাবতেই কেমন লাগে।
তবে তিনি যাই ভাবুন, সবাই তার মতো করে ভাবছেন না। কারও কারও মতে, এটা দেখতে ভালো লাগা না লাগার প্রশ্ন নয়। এটা নিরাপত্তার প্রশ্ন।
এর আগে ফক্স নিউজের সঙ্গে আলাপেও মাস্ক ব্যবহারের কথা এসেছিল। সে সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, হোয়াইট হাউসে তার ব্যক্তিগত কর্মচারীরা সবাই মুখোশ পরে থাকেন।
আরও আগে ট্রাম্পের খাবার সরবরাহকারী ইউএস নেভির একজন সদস্যকে পজিটিভ পাওয়া গেছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, মাত্র চারদিন আগেই ওই লোককে নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছিল।
এর মানে হলো, টেস্টের ব্যাপারেও তেমন আস্থা নেই ট্রাম্পের। তার মতে, টেস্ট খুব বেশি কিছু প্রমাণ করে না। একে অভ্রান্ত ধরে নেওয়ার দরকার নেই।
পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কালেহি ম্যাকেনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা প্রেসিডেন্টের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছি।
ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ, মার্ক মিডোসও সাংবাদিকদের একই কথা বলেন। তিনি বলেন, এটাই একমাত্র সুরক্ষিত জায়গা, যেখানে আপনি নির্দ্বিধায় আসতে পারেন। ৮ মে ভিই ডে-তে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ‘শহিদ’দের সমাধিতে যাওয়ার সময়ও মুখোশ না পরার ব্যাপারটা নিয়ে ট্রাম্প রসিকতা করে বলেন, সে সময় এত বেশি বাতাস বইছিল যে, ভাইরাসের সাধ্যেই ছিল না তা ঠেলে কারও নাকের ধারে কাছে আসে।◉