শেখ হাসিনার কড়া নির্দেশে সম্মেলনের প্রস্তুতি ছাত্রলীগে
রূপসী বাংলা ডেস্ক:বারবার তাগাদা দিয়েও মার্চে জাতীয় সম্মেলন করানো যায়নি ছাত্রলীগকে। আর ৩১ মার্চ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ নিয়ে অসন্তোষ জানানোর পর এবং শেখ হাসিনার কড়া নির্দেশে অবশেষে সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ছাত্র সংগঠনটি।
শেখ হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি মে মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহেই সম্মেলন দেখতে চান। আর ছাত্রলীগ ৫ বা ১১ মে-এই দুটি দিনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
ছাত্রলীগের সম্মেলনে বরাবর প্রধান অতিথি থাকেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী। তার ব্যস্ততার দিকটি মাথায় রেখেই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে ছাত্রলীগকে।
২০১৫ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই সাইফুর রহমানকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। গণতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ দুই বছর। আর ২০১৭ সালের জুলাইয়ে এই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সংগঠনটির বর্তমান কমিটি নানা অযুহাতে সম্মেলন পিছিয়েছে এতদিন। গত ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংগঠনটির এক অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগকে মার্চের মধ্যে সম্মেলন করার নির্দেশ দেন। এটি শেখ হাসিনার অভিপ্রায় এটিও জানিয়ে দেন তিনি।
কিন্তু মার্চে যে ছাত্রলীগের সম্মেলন হচ্ছে না, এটি স্পষ্ট ছিল। সম্মেলন না করতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে দেন দরবার করতে থাকে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি। তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অজুহাত হিসেবে ধরে পদ টিকিয়ে রাখার পক্ষে ছিল।
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির দাবি, নতুন কমিটি দায়িত্বে এলে তারা ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভূমিকা রাখতে পারবে না।
তবে ৩১ মার্চ শেখ হাসিনার চূড়ান্ত নির্দেশ পেয়ে আর কালক্ষেপণের উপায় রইল না ছাত্রলীগের। এবার ২৯তম জাতীয় সম্মেলন করে নতুনদের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।
রীতি অনুযায়ী সম্মেলনের মাসখানেক আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক। আগামী ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে সংগঠনের দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতদিন সম্মেলন করতে অনীহা এবং আগামী সম্মেলনের প্রস্ততির বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা ধরেননি।
পরে সংগঠনের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের সংবিধানিক ভিত্তি ভঙ্গ করে কেউ যাতে আর দুই বছরের বেশি দায়িত্বে থাকতে না পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’
‘বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে বুকে ধারণ করে সমস্ত রকমের লোভ-লালসা থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে এবং গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হবে।’