আন্তর্জাতিকপ্রধান খবরবাংলাদেশভারতযুক্তরাষ্ট্র

স্বাগতম ২০২১!

গেল বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছে। রাতের আকাশ আলোকিত হয়েছে আতশবাজিতে। সকাল আলোকিত হয় সূর্যের রশ্মিতে, নতুন বছরের সূর্য। ২০২১ সালের সূর্য। এবারের ইংরেজি নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে করোনা মহামারীর ভেতর। এমন অভিজ্ঞতা স্মরণকালের ভেতর নেই বিশ্ববাসীর। মহামারীর কারণে মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়েই নতুন বছরের যাত্রা শুরু করতে হচ্ছে মানুষকে।

ইংরেজি সালের হিসেব অনুযায়ী ১ জানুয়ারিকে ধরা হয় বছরের প্রথম দিন। আধুনিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ও জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারেই এই হিসেব করা হয়। যিশু খ্রিস্টের জন্মের পর থেকে এই বছর গোনা হয়, তাই একে খ্রিস্টাব্দ বলে। এই চল শুরু হয়েছিল মেসোপটেমিয় সভ্যতা থেকে, যে সভ্যতা পরে ইরাক রাষ্ট্রে রূপ নেয়।

ইউরোপের রোমে নতুন বছর উদযাপনের প্রচলন শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৩ সাল থেকেই। পরে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ অব্দে সম্রাট জুলিয়াস সিজার একটি নতুন বর্ষপঞ্জিকার প্রচলন করেন। যা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত।

রোমে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের অন্তর্গত বছরের প্রথম দিনটি জানুস দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। জানুস হলেন প্রবেশপথ বা সূচনার দেবতা। তার নাম অনুসারেই বছরের প্রথম মাসের নাম জানুয়ারি নামকরণ করা হয়।

১৫৮২ সালে পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি এই ক্যালেন্ডারের নতুন সংস্কার করেন। যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত। বর্তমানে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই কার্যত দিনপঞ্জি হিসেবে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হয়।

আনুষ্ঠানিকভাবে ইংরেজি নববর্ষ পালন শুরু হয় ১৯ শতক থেকে। নতুন বছরের আগের দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর হচ্ছে নিউ ইয়ার ইভ। এদিন নতুন বছরের আগমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ।

বাংলাদেশে নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে প্রশাসনিকভাবে নববর্ষ উদযাপনকে সীমিত করা হলেও, রাতে বিভিন্ন ভবনের ছাদে উচ্চ শব্দে গান ও আতশবাজির শব্দ শোনা যায়।❐

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension