NRC কেন হচ্ছে…বাংলার মানুষকে বোঝাতে বিশেষ টিম বানাচ্ছে বিজেপি
রূপসী বাংলা কলকাতা ডেস্ক: প্রতিবেশী রাজ্য অসমে জারি হয়েছে এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা। বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম। দেশজুড়ে এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷
এর মধ্যেই এরাজ্যে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব বিলের সমর্থনে প্রচার শুরু করবে বিজেপি। এই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের দুই সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সায়ন্তন বসু। পুজোর আগেই এই প্রচার শুরু হওয়ার কথা৷ রাজ্য বিজেপি সূত্রে এখবর পাওয়া গিয়েছে৷
জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপি এন আর সি – এর ব্যাপারে ‘হোমওয়ার্ক’ শুরু করে দিয়েছে। উদ্বাস্তু সেলের কনভেনর মোহিত রায় নানান জায়গায় বক্তব্য রাখছেন।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বাড়ি বাড়ি চটি বই বিলি করে বিজেপি বোঝাতে চাইছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্থান থেকে আসা মুসলমানরা যেমন বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, অন্যদিকে ওই দুই দেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি, শিখ বা খ্রীস্টানদের মতো ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা হলেন স্মরণার্থী৷ ভারতের বিজেপি সরকার, প্রতিবেশি দেশ থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আশ্রয় দেবে৷ কারণ, তাঁরা বিপদের মুখে নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন৷ অন্যদিকে মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানো হবে, কারণ সীমান্তের ওপার থেকে রোজগার বা বাসস্থান খুঁজে পেতে, কিংবা কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই তারা এদেশে এসেছে৷
লোকসভা নির্বাচনের আগে কিছু এই ধরণের বক্তব্য রেখেই পশ্চিমবঙ্গে প্রচার শুরু করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি, বর্তমানে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ‘এনআরসি’ – এর রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত অনেক আগেই অনুধাবন করেছিলেন শাহ। লোকসভা নির্বাচনে ফল পাওয়া গিয়েছে হাতেনাতে। উত্তরবঙ্গে যেখানে অনুপ্রবেশের সমস্যা সব থেকে বেশি, সেখানে তৃনমূল কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।
এদিনই, এনআরসি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশি মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের দেশের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপি তাড়াতে চান৷ সেক্ষেত্রে রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এলেই এন আর সি – এর কাজ শুরু হবে বলে মনের করেন দিলীপ। পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, এন আর সি সারা দেশেই চালু হবে। পশ্চিমবঙ্গও ব্যতিক্রম হবে না।