
এই যে বসন্তের পড়ন্ত দুপুরে
স্বর্ণচাঁপার মৃদু গন্ধ মাখানো তেছরা রোদ
জানালা গলিয়ে এসে জমেছে ফুলতোলা বিছানায়
জমেছে আমার প্রাচীন কায়ায়।
এই রোদে হয়তো একদিন
হাঁটতে হাঁটতে ইস্টিশনের দিকে গিয়েছিলাম
তুমি বিষণ্ণ মনে, তোমার বুক খামচে ধরার গল্প বলেছিলে সেদিন
কি এক খামতি ভাবের কথা বলছিলে যেন।
তোমার বিষণ্ণতাকে মনে হয়েছিল তুঁত গাছের পাতা,
পলু পোকা হয়ে সে বিষণ্ণতা খেয়ে
বানিয়ে দিয়েছিলাম সহস্র রেশম পোশাক।
নরম রোদের সেই সে আকাশ নুয়েছিল আমাদের দিকে।
শাঁ করে ট্রেন চলে যাওয়ায় হুট করেই নিঝ্ঝুম হয়ে গিয়েছিল ইস্টিশন।
তারপর—
তোমার কোমল রেশম পোশাকের গায়ে
সোনাঝরা রোদ মেতেছিল রঙের খেলায়,
অনেক কাল আগে, ঠিক এমন এক বসন্তের বিকেলে
তুমি আমার গায়ে খুঁজেছিলে
সেই সে আদিম ঘ্রাণ
আজ যেই সোনালো ছুঁয়েছে আমার শয্যায়
এই দুপুরের পড়ন্ত বেলায়,
সেই একই আলো একদিন ছুঁয়েছিল— আমাদের মাটির দাওয়ায়।
আমাদের অপার্থিব নিমগ্নতায়।