খেলাপ্রধান খবর

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্স

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছলো ফ্রান্স। সেমিফাইনালে শিরোপাধারী ফ্রান্স লড়বে এবারের চমক দেখানো দল মরক্কোর সঙ্গে। গতকাল আল খোরের আল বাইত স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

পল পগবার ইনজুরিতে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। তবে ২২ বছরের তরুণ অরেলিয়েন চুয়ামেনি বুঝিয়ে দিলেন কেন তাকে পগবার সঙ্গে তুলনা করা হয়। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ১৭তম মিনিটে চুয়ামেনিকে ডি-বক্সের অনেকটা সামনে পাস বাড়ান আঁতোয়ান গ্রিজম্যান। ডান পায়ে শট নেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা চুয়ামেনি। বুলেট গতিতে বল ঠিকানা খুঁজে নেয় ইংল্যান্ডের জালে। ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষরক্ষা করতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক হ্যারি কেইন। এতে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ওয়েইন রুনিকে স্পর্শ করেন টটেনহ্যাম হটস্পার তারকা।

ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে দুজনেরই ৫৩ গোল। রুনি ১২০ ম্যাচে এবং কেইন ৮০ ম্যাচ খেলে করেন এ কীর্তি। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ে এর আগে বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি ইংল্যান্ড (৬ হার, ২ ড্র)। অন্যদিকে, প্রথমার্ধে লিড নিয়ে এর আগে কোনো ম্যাচে হারের নজির ছিল না ফ্রান্সের (২৫ ম্যাচে ২৪ জয়, ১ ড্র)।

এদিন ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ইংল্যান্ডের একটি আক্রমণ এবং ফিল ফোডেনের জোরাল শট রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপরই শুরু হয় ফ্রান্সের একের পর এক আক্রমণ। কখনও বাঁ দিক থেকে আবার কখনও ডান দিক দিয়ে। সপ্তদশ মিনিটে তেমনই এক আক্রমণে বাঁ দিক থেকে একজনকে কাটিয়ে ডান দিকে বল বাড়ান এমবাপ্পে। সতীর্থের পা ঘুরে বল পান অরলিয়া চুয়ামেনি; তবে কেউ হয়তো ভাবতে পারেননি অতদূর থেকে শট নেবেন তিনি। কিন্তু এক পলকে সামনে ফাঁকা জায়গা থেকে রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার নিলেন জোরাল শট, গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড ঝাঁপিয়েও নাগাল পেলেন না। আন্তর্জাতিক ফুটবলে চুয়ামেনির এটি দ্বিতীয় গোল।

গোল খেয়েই আক্রমণে জোর দেয় ইংল্যান্ড। ২৬তম মিনিটে ডান দিক থেকে বক্সে ঢোকার মুখে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে হ্যারি কেইন পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে তারা, তবে রেফারির সাড়া মেলেনি, ভিএআরেও তেমন কিছু ধরা পড়েনি। তিন মিনিট পর কেইনের জোরাল শট একজনের গায়ে লেগে লক্ষ্যেই ছিল, ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস।

বিরতি থেকে ফিরে দ্রুতই সমতায় ফেরে ইংলিশরা। ৫২তম জুড বেলিংহামের পাসে ডিবক্সের ভেতর বল পান বুকায়ো সাকা। পুরো ম্যাচে উজ্জ্বল নৈপুণ্য দেখানো সাকাকে এ সময় ফেলে দেন ফ্রান্সের গোলদাতা চুয়ামেনি। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিজে গোল করার পর নিজেদের ডি বক্সে ফাইল করে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি দিয়েছিলেন ইভান পেরিসিচ। এবার তেমন কিছু দেখা গেলো চুয়ামেনির বেলায়।

জোরালো স্পট কিকে গোল আদায় করেন হ্যারি কেইন। এর পর আক্রমণের ধার বাড়ে ইংলিশদের। ৭২তম মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন কেইন। ৭৬ মিনিটে এক প্রতিআক্রমণ থেকে অলিভিয়ের জিরুর জোরালো শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। তবে পরের মিনিটেই কর্নার থেকে পাওয়া সুযোগে দারুণ হেডে গোল করেন জিরুই। সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল ইংল্যান্ডেরও। ৮৩তম মিনিটে নিজেদর ডি বক্সে ইংলিশ তারকা ম্যাসন মাউন্টকে ফাউল করেন ফরাসি ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজকে। আবারও পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু এবার স্পট কিক বারের উপর দিয়ে মারেন হ্যারি কেইন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension