ইভাঙ্কা কি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এড়িয়ে চলছেন?
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে তার মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প বাবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অথচ যখন তার বাবা প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন তাকে ও তার স্বামী জারেড কুশনারকে বার বার ট্রাম্পের সঙ্গে বিদেশ সফর এবং সরকারি সফরে দেখা গেছে। এখন তিনি (ইভাঙ্কা) তার স্বামী এবং ব্যবসায়িক কাজে মনোযোগা দিয়েছেন।
একই কাজ করছেন কুশনারও। তারা দুজনেই হাউস সিলেক্ট কমিটির সামনে ৬ জানুয়ারি দাঙ্গার ঘটনায় তদন্তের জন্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ওই সময় হাজার হাজার ট্রাম্প-সমর্থক ক্যাপিটল হিলে হামলা করেছিল।
এমনকি গত বছরের নভেম্বরে ৭৬ বছর বয়সি ট্রাম্প যখন ২০২৪ সালের নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা করেছিলেন, তখনও এই দম্পতি উপস্থিত ছিলেন না।
নিউজউইক জানিয়েছে, একজন আইনি বিশ্লেষকের মতে, এটা বিশ্বাস করা হয় যে, ইভাঙ্কা তার বাবা এবং পারিবারিক সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে হয়তো অনেক দেরি করে ফেলেছেন।
ট্রাম্পের সংস্থার বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের আদালতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির মামলায় তাকে বিবাদীও করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সংস্থা ‘আর্থিক লাভের জন্য সরকারি রেকর্ডে কিছু সম্পত্তির মান ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে।’
আইনি বিশ্লেষক এবং অ্যাটর্নি অ্যান্ড্রু লিব বলেছেন, যদিও ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার পরিবার থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তিনি সম্ভবত অনেক দেরি করে ফেলেছেন।
এই বিশ্লেষক নিউজউইককে বলেছেন, পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হতে পারে, কারণ ইভাঙ্কা তার ভাইদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীদের পরিষেবাও বরখাস্ত করে নিজের আইনি টিম নিয়োগ করেছেন।
অ্যান্ড্রু লিব বলেছেন, ‘তার রিব্র্যান্ডিং খেলায় একটু দেরি হয়ে গেছে, যদিও এটি আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ৷ ট্রাম্প, ডোনাল্ড জুনিয়র, এরিক এবং ইভাঙ্কা- একই আইনজীবীর সঙ্গে থাকার ক্ষেত্রে স্বার্থের ইস্যুতে সাংঘর্ষিক হতে পারে।’
লিব বলছেন, ইভাঙ্কার সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো ‘তার বাবার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের বিভিন্ন ব্যবসায়িক লেনদেন এবং তার ব্যক্তিগত জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে, তার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।