ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘নিশ্চিতভাবে’ প্রতিশোধ নেওয়া হবে: ইরান
ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মাদ বাগের গালিবাফ বলেছেন, ১ অক্টোবরের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাথে তুলনা করলে ইসরাইলের হামলা ব্যর্থ হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, হামলার পরিসর যাই হোক না কেনো, তেহরান ‘নিশ্চিতভাবে’ প্রতিশোধ নেবে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
তেহরানে এক টেলিভিশন ভাষণে গালিবাফ বলেন, ‘গাজা ও লেবাননে অরক্ষিত শিশু ও নারীদের গণহত্যা ছাড়া ইহুদিবাদী শাসনের কোনো অর্জন নেই। আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরাইলের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই’।
ইরানের পার্লামেন্টে যোগ দেওয়ার আগে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসির) বিমান বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন গালিবাফ। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুসারে আক্রান্ত হলে প্রতিটি দেশের নিজেকে আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তেহরান তাই ইসরাইলকে জবাব দেবে।
‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান, তার বৈধ আত্মরক্ষার অন্তর্নিহিত অধিকার এবং জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের কাঠামোতে, নিজেকে আত্মরক্ষা করার অধিকার বলে মনে করে। (ইসরাইলের) এই লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত’।
গালিবাফ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরাইলের ‘সব যুদ্ধাপরাধের প্রধান অংশীদার’ বলে অভিহিত করেছেন। তার ভাষ্য, ওয়াশিংটনকে অবশ্যই ইসরাইলের বেসামরিক হত্যা বন্ধ করতে গাজা ও লেবাননে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইরানের ওপর ইসরাইলের হামলাকে জোরালো সমর্থন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা মিত্ররা। কিন্তু এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে পাকিস্তান, বাহরাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, আফগানিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
পার্লামেন্টের স্পিকার ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা করার জন্য আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।
শুক্রবার ভোররাতে ইরানে একাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় ইসরাইল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ সেনা সদস্য নিহতের খবর জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।