ভারতের উত্তর প্রদেশের মাউ জেলায় স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে ১৮ বছরের তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রায় এক বছর ধরে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ওই নেতার বিরুদ্ধে ১৮ বছরের তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ এবং হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মাউ জেলার কোতোয়ালি নগর থানার পুলিশ কর্মকর্তা অনিল কুমার সিং জানিয়েছেন, বীরেন্দ্র পাল নামের ওই নেতা পেশায় একজন আইনজীবীও। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছে, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, বীরেন্দ্র পালকে আইনি কাজে সহায়তা করতেন তিনি। একদিন বীরেন্দ্র পাল গাড়িতে করে তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যান। পরে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পাশাপাশি ওই ঘটনার ছবি এবং ভিডিও রেকর্ড করে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার হয়রানি করেন। এ ছাড়া ওই তরুণী থেকে চার লাখ রুপিও হাতিয়ে নিয়েছেন বলে বীরেন্দ্র পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী আরও অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত তার সঙ্গে সবশেষ গত ১৬-১৭ জুলাই একটি হোটেলে দেখা করেন। যেখানে তাকে ফের ধর্ষণ করেন ওই নেতা। পাশাপাশি ওই তরুণীকে মারধর, গালিগালাজ এবং হত্যার হুমকিও দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে, শনিবার ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) বিভিন্ন ধারায় বীরেন্দ্র পালের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যেখানে স্বেচ্ছায় আঘাত করা, অপরাধমূলকভাবে ভয় দেখানো, শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশে ইচ্ছাকৃত অপমান, অপরাধ করার জন্য বিষের মাধ্যমে আঘাত এবং ধর্ষণের ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।