নাসির আহমেদ
এই কবিতাটি দুফোঁটা অশ্রু শুভ্র শিশির
এই কবিতাটি চিরবিদায়ের এপিটাফ হবে তার জন্যই—
যাকে ভালোবেসে কিশোরবেলায়
জেনেছি প্রথম ভালোবাসা কী যে কুহেলী দহন!
এই কবিতাটি নিঃসঙ্গ রাত, রাতের শিয়রে অশ্রুর ফোঁটা
টুপটাপ ঝরে নীরব শিশির সূর্য ওঠার অনেক আগের!
এই কবিতাটি আলোর ওপর অন্ধকারের থাবায় কাতর
বেদনাবিধুর অসহায়তার নীরব আর্তি।
এই কবিতাটি করোনাকালের কালো কাঁটাতারে
গেঁথে যাওয়া সেই নীল প্রজাপতি, তার প্রতি শোক,
এই কবিতাটি চৈত্রের দাহে চৌচির মাঠ বৃষ্টিপিপাসু।
সে মাঠের প্রতি নীরব অশ্রু শুষ্ক চোখের।
এই কবিতাটি নির্জন ঘরে করজোড়ে কারো সেই
প্রার্থনা—
মায়াজাদু যেন দুহাতে আশার আশ্বাস ঢালে;
যে ফিরে কখনো আসবে না আর তারই পথ চাওয়া!
প্রতীক্ষাময়ী এই কবিতাটি ছাইয়ের আড়ালে গোপন অনল।
এই কবিতাটি নির্জনতার স্তব্ধতাভাঙা কলরোল হয়ে
একদিন যেন রক্তে তোমার উত্তাল ঢেউ নিয়ে ফিরে আসে
আশ্বাস হোক অসহায়তার আর্তি পেরিয়ে
এই কবিতাটি প্রার্থনা হোক জন্মদিনের সোনালি রোদের।