
এবার কিয়েভের আকাশে রাশিয়ার বেলুন
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আকাশে রাশিয়ার বেলুন উড়তে দেখা গেছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, কিয়েভের আকাশে রাশিয়ার অন্তত ছয়টি বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ১৫ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের গোয়েন্দা বেলুনের অভিযোগ ঘিরে দেশ দুটির মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে। এমন সময়েই কিয়েভের আকাশে রাশিয়ার বেলুন ওড়ার খবর দিল ইউক্রেন। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের পক্ষে জোরালো সমর্থন দিয়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধে প্রত্যক্ষ সমর্থন না করলেও চীন রাশিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র। এদিকে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়া কী উদ্দেশ্যে কিয়েভের আকাশে বেলুন উড়িয়েছে তা পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহানাত জানান, রাশিয়া হয়তো কিয়েভের সামরিক শক্তির অবস্থান বোঝার জন্য বেলুনগুলো ব্যবহার করতে পারে। এ ছাড়া কিয়েভের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতেও এসব বেলুন ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া।
ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইউক্রেনজুড়ে বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে রুশ সেনাদল পূর্বাঞ্চলের লড়াইয়ে অগ্রগতি অর্জন করেছে। ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানায়, গতকাল ভোরের দিকে রুশ বাহিনী অন্তত ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর অর্ধেকই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে অন্তত ৮টি কালিবার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। কৃষ্ণসাগরে রুশ রণতরী থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চলসহ দিনিপ্রোপ্রেত্রোভস্ক ও কিরোভহ্রাদের মধ্যাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। এ ছাড়া বুধবার দিবাগত রাতে ইউক্রেনে বোমা বর্ষণ করে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো এবারের বোমার আঘাত থেকে কিছুটা রক্ষা পেয়েছে।
ইইউর নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব
রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজে রাশিয়ায় কিছু শিল্প এবং প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপগুলো রুশ বাহিনীকে তাদের অস্ত্রব্যবস্থা চালু রাখার জন্য যেসব উপাদান প্রয়োজন, সেগুলোর পাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করবে।
ইইউর প্রস্তাবটিতে রাশিয়ায় শাহেদ ড্রোন সরবরাহ ঘিরে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ করার জন্য এই ড্রোন ব্যবহার করেছে।