যুক্তরাষ্ট্র

কিসিঞ্জারের মৃত্যুতে বাইডেনের শোক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পর শোক জানালেন শোক জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

কিসিঞ্জারের স্ত্রী ন্যান্সি, তাঁর সন্তান ডেভিড ও এলিজাবেথ, তাঁর নাতি-নাতনি এবং যাঁরা তাঁকে ভালোবাসতেন সবার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, সরকারি পদ ছাড়ার পরও কিসিঞ্জার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন। কয়েক প্রজন্ম ধরে তিনি তাঁর চিন্তাভাবনা ও দর্শনের কথা জানিয়েছেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানান। গতকাল কিরবি বলেন, হেনরি কিসিঞ্জারের মৃত্যু একটি বিশাল ক্ষতি। তিনি বিশ্বজুড়ে আমেরিকার প্রভাব বাড়াতে ভূমিকা রেখেছিলেন।

স্থানীয় সময় বুধবার রাতে কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।

১৯২৩ সালের ২৭ মে জার্মানির এক ইহুদি পরিবারে জন্ম কিসিঞ্জারের। পরে তাঁর পরিবার পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যায়। ওই শহরেই বেড়ে ওঠেন কিসিঞ্জার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মার্কিন কূটনীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাঁকে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। অনেকেই কিসিঞ্জারের নানা বিতর্কিত ভূমিকার জন্য তাঁকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিযুক্ত করে থাকেন। কম্বোডিয়া ও লাওসে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সম্প্রসারণ, চিলি ও আর্জেন্টিনায় সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন, ১৯৭৫ সালে পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশিয়ার রক্তক্ষয়ী অভিযানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক নৃশংসতার বিষয়ে চোখ বন্ধ রাখা- এসব অভিযোগ রয়েছে কিসিঞ্জারের বিরুদ্ধে। তবে বিশ্বের নানা প্রান্তে যুদ্ধ-সংঘাতের ‘কারিগর’ কিসিঞ্জারকে কখনো সেভাবে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension