
গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলা হয়েছে: ইউএনআরডব্লিউএ
আট মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে পুরো গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। খবর আল জাজিরা।
ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে উপরোল্লিখিত মন্তব্য করে বলেন, অথচ একসময় গাজা উপত্যকা একটি ‘প্রাণবন্ত শহর’ ছিল। ওই পোস্টে তিনি গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিও ফুটেজও সংযুক্ত করেন।
ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, সীমাহীন ধ্বংসযজ্ঞ ও জনশূন্যতার মাধ্যমে গাজাকে পুরোপুরিভাবে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলা হয়েছে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জানায়, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজা ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরও ৮৫ হাজার ৩৭ জন। অনেকে বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকায় তারা নিখোঁজের তালিকায় রয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অব্যাহতভাবে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই হামলায় বেসামরিক আবাসন, হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা কিছুই বাদ পড়েনি। এইসব স্থাপনা পুনরায় তৈরি করতে যুদ্ধ থামার পর আরও ৩০-৪০ বছর সময় লেগে যাবে।
এসব বেসামরিক স্থাপনা ভেঙে ফেলায় গাজায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় মৌলিক সেবা প্রদান বাধাগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের মতেই, ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সেই সঙ্গে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধসহ সব কিছুর তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।