
গাজা সংকট নিয়ে মার্কিনিদের কাছে লেখা দুই চিঠিতে যা বললেন বাইডেন
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলপন্থী মার্কিন নাগরিকদের কাছে দুটি ভিন্ন বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক চিঠিতে ফিলিস্তিনের হামাসের ‘সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। অন্য চিঠিতে গাজা উপত্যকার বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষায় মার্কিন প্রশাসনের চেষ্টার কথা বলা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের দাপ্তরিক চিঠিপত্রের ওপর ভিত্তি করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এনবিসি নিউজের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলপন্থীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ইসরায়েলকে অব্যাহত সমর্থন এবং হামাসের হাতে গাজায় বন্দীদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বাইডেনের চিঠিতে বলা হয়, ‘হলোকাস্টের পর ইহুদিদের জন্য দিনটি (৭ অক্টোবর) ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ।’
ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে আছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য ইসরায়েলের যা প্রয়োজন তা আমরা নিশ্চিত করব।’
অন্যদিকে ফিলিস্তিনপন্থীদের উদ্দেশে লেখা বাইডেনের আরেকটি চিঠিতে ফিলিস্তিনে সাহায্যের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেখানে হলোকাস্ট বা ইসরায়েলের জন্য মার্কিন সমর্থনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এনবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আমরা নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করছি।’ চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গাজার নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের কাছে খাবার, পানি, ওষুধসহ জীবন রক্ষাকারী সহায়তা নিশ্চিত করতে অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে মার্কিন প্রশাসন।
এর আগে, পশ্চিম তীরে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলাকারী সেটেলার বা বসতিস্থাপনকারী চরমপন্থী ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জনগণের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হলো দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক নিবন্ধে জো বাইডেন এই অভিমত দেন। ‘দ্য ইউএস ওন্ট ব্যাক ডাউন ফ্রম দ্য চ্যালেঞ্জ অব পুতিন অ্যান্ড হামাস’ শিরোনামে নিবন্ধে জো বাইডেন বলেন, ‘এটা অনেকটাই স্পষ্ট যে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় জনগণের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হলো দুই রাষ্ট্রের সহাবস্থানকেন্দ্রিক সমাধান। এতে সমান স্বাধীনতা, সুযোগ ও মর্যাদা নিয়ে দুই রাষ্ট্রের মানুষ বসবাস করবে। এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।’