চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারলেন নারী জওয়ান
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সদ্য নির্বাচিত বিজেপির জয়ী প্রার্থী কঙ্গনা রানাউতকে দেশটির চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে থাপ্পড় মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) একজন নারী সদস্য কঙ্গনাকে চড় মারেন।
ইতোমধ্যে ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে আটক করা হয়েছে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চণ্ডীগড় থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন কঙ্গনা। তিনি হিমাচল প্রদেশের মণ্ডী লোকসভা কেন্দ্রের সদ্য নির্বাচিত প্রার্থী। স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা নাগাদ বিস্তারার বিমানে ওঠার কথা ছিল তার। সেখানেই নিরাপত্তাজনিত কারণে তল্লাশির সময়ে ওই নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে অভিনেত্রীর বচসা হয় বলে অভিযোগ।
হিন্দুস্তান টাইমস্ জানিয়েছে, বিমানবন্দরে তল্লাশির সময়ে নিজের মোবাইল ফোনটি নির্দিষ্ট ট্রে-তে রাখতে রাজি হননি কঙ্গনা। তাতে আপত্তি করেন নিরাপত্তারক্ষী। তিনি অভিনেত্রীকে জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার নিয়ম অনুযায়ী, মোবাইল ওই ট্রে-তে রাখতে হবে। তার জেরেই ঝামেলা শুরু হয়। বিমানবন্দরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
অভিযোগ, কঙ্গনা ওই নারী নিরাপত্তারক্ষীকে ধাক্কা মারেন। এরপরেই ওই নিরাপত্তারক্ষী তাকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। দেশটির বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন সিআইএসএফ জওয়ানেরা।
সূত্রের খবর, দিল্লিতে নেমে সিআইএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীনা সিংহ এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন কঙ্গনা। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কী কী ঘটেছে, তা কর্মকর্তাদের কাছে ব্যাখ্যা করেন। নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও করেছেন তিনি।
‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। কঙ্গনা অবশ্য ধাক্কাধাক্কির কথা মানতে নারাজ। তার অভিযোগ, ওই নারী নিরাপত্তাকর্মী কৃষক আন্দোলনের সমর্থক। তাই তাকে আক্রমণ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে একটি ভিডিও বার্তায় কঙ্গনা বলেন, ‘আমার কাছে অনেক ফোন আসছে। প্রথমেই জানাই, আমি ভাল আছি। আজ চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশির পর আমি যখন বেরোলাম, পাশের একটি কেবিন থেকে এক নারী নিরাপত্তারক্ষী বেরিয়ে এসে পাশ থেকে আমার গালে চড় মারেন। আমাকে গালিগালাজও করেন। আমি ওকে যখন জিজ্ঞেস করলাম, কেন উনি এমন করলেন, উনি বললেন, উনি কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন। আমি নিরাপদে আছি। কিন্তু পাঞ্জাবে যেভাবে আতঙ্কবাদ এবং উগ্রবাদ বেড়ে চলেছে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’