বিচিত্র কুমার
সময় যেন নদীর ঢেউ,
তৃষ্ণার্ত পাথরকে ভিজিয়ে দিয়ে চলে যায়।
চুপচাপ অপেক্ষা, তবু থামে না সে,
দূর আকাশের মেঘ হয়ে কাঁদে যেন নির্জন বাতাস।
রোদ্দুরের সোনালি আলো,
অস্থির পিপাসায় ভেজা শীতের কুয়াশা,
কেউ আসে, কেউ যায়, সময়ের শস্যক্ষেত্রে—
আশার সোনালি দানা ছড়ায়, আবার ফেলে যায়।
সময়ের লম্বা ছায়া,
ফুলের গন্ধে মিশে যায় অচেনা রূপে,
দুর্বাঘাসে ভিজে থাকা শিশিরের মতো,
ফেলে রাখা পদচিহ্নে হারিয়ে যায়।
গোধূলির স্নিগ্ধ আলোয় সময়ের আরশি,
চোখে ভেসে ওঠে স্মৃতির প্রতিচ্ছবি,
মেঘের সঙ্গে গা ভাসিয়ে নিয়ে যায়—
যেন ক্লান্ত হাওয়ার বুকে স্থির এক হাহাকার।