করোনাপ্রধান খবরভারত

চীনের করোনার উপধরন পাওয়া গেল ভারতেও

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) অমিক্রন ধরনের বিএফ.৭ উপধরনে আক্রান্ত চারজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ভারতে। করোনার এই উপধরনে চীনে নতুন করে ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। ভারতের গুজরাট ও ওডিশা রাজ্যে এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে। ভারতে বর্তমানে কোভিড বিধিনিষেধ পালনে বাধ্যবাধকতা নেই।

গুজরাটে নতুন উপধরন বিএফ.৭–এ আক্রান্ত দুজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ এনডিটিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অক্টোবর-নভেম্বরে সেখানে অমিক্রনের বিএফ.১২ উপধরনও শনাক্ত হয়েছিল।

বাসায় আইসোলেশনে রেখে যাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। জুলাইতে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছিল বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত সব রোগীর নমুনা ‘ইনসাকগ’ জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘ইনসাকগ’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি ফোরাম। এটি ভারতে ছড়িয়ে পড়া কোভিডের বিভিন্ন ধরন নিয়ে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের কাজটি করে থাকে।

আজ বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের সব বিমানবন্দরে দৈবচয়নের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জনসমাগমস্থলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

বর্তমানে ভারতে জনসমাগমস্থল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় করোনা বিধিনিষেধ বহাল নেই। গত জুনে কেন্দ্রীয় সরকারে নির্দেশনা মেনে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতাও তুলে দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোয়ও মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে নভেম্বরে পাঠানো এক নির্দেশনায় মাস্ক ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করতে বলা হয়।

বিশেষজ্ঞ ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় বলেন, ‘কোভিড এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছি। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি।’

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪০৮। করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৭।

সম্প্রতি ‘শূন্য কোভিড নীতি’ থেকে সরে এসেছে চীন। লকডাউন ও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া এলাকার লোকজনের ব্যাপক পরীক্ষাসহ বাধ্যতামূলক সব বিধিনিষেধও তুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর দেশটিতে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হয়। রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension