চীনের #মি টু সাংবাদিককে পাঁচ বছরের জেল
চীনে একজন নারী সাংবাদিককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। দেশটিতে #মি টু আন্দোলনের কর্মী হিসেবে পরিচিত ওই নারী সাংবাদিকের নাম সোফিয়া হুয়াং জুয়েকিন। তাকে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাশকতার’ দায়ে শুক্রবার এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খবর বিবিসির।
সোফিয়া হুয়াং জুয়েকিনকে ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে যাওয়ার সময় গুয়াংজু শহরের বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন যুক্তরাজ্য-সরকারের স্পনসরে সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পড়তে যাচ্ছিলেন সোফিয়া। সে সময় তার সঙ্গে থাকা আরেক আন্দোলন-কর্মী ওয়াং জিয়ানবিংকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর থেকেই সোফিয়াকে নির্জন কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ কয়েক মাস বিনাবিচারে আটক থাকার পর ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় ১০ মাসের বিচারকার্য শেষে শুক্রবার রায় দেওয়া হয়।
রায়ে ৩৬ বছর বয়সী সোফিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও তার সহযোগী ৪০ বছর বয়সী ওয়াং জিয়ানবিংকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোফিয়া চীনের #মি টু আন্দোলনে অন্যতম কণ্ঠস্বর ছিলেন। তিনি চীনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের সম্পর্কে যুগান্তকারী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। নিজেও চীনা সংবাদকক্ষে যে দুর্ব্যবহার ও বৈষম্যের মুখোমুখি হয়েছেন, সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন।
এদিকে চীনা কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করেনি যে দুজনকে কীভাবে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও বিচারে রুদ্ধদ্বার শুনানি হয়েছে। এছাড়া ২০২২ সালে বিবিসি আই তদন্তে দেখা গেছে, দুজনকেই নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল, যা ‘ব্ল্যাক জেল’ নামে পরিচিত গোপন স্থান।
এদিকে দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেওয়াকে ‘ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।