
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার তার বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময় একটি অটোরিকশায় একাই কারাফটক দিয়ে বের হন বুশরা। তবে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার বলেন, ‘সোমবার রাতেই বুশরার জামিনের কাগজপত্র কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়। যাচাই-বাছাই শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।’
গত রোববার আয়াতুল্লাহ বুশরাকে জামিন দেয় ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার।
বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। সেদিন ফারদিনের সঙ্গে ছিলেন বুশরা।
৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
এ ঘটনায় আমাতুল্লাহ বুশরাসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা মামলা করেন। মামলার পর গত ১০ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন। ১৫ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
মামলার তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। এরপর মাদকসংশ্লিষ্টতা, মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে খুন, কিশোর গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয় সামনে আসে। সর্বশেষ তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবি ও র্যাব জানায়, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন। ডিবি পুলিশ জানায়, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলে থাকা বুশরা নির্দোষ।