জেসী’স কিচেনরসুই ঘর

জেসী’স কিচেন

জেসমিন রাশিদ জেসী

 

রূপসী বাংলা ডেস্ক:  বিকেলের নাস্তায় চা এর সাথে টা হিসেবে বিস্কুট কি সব সময় ভালো লাগে?? আমার কিন্তু একদমই না। আমি জানি আমার সাথে অনেকেই এক মত। তাদের জন্য আজকের মুখরোচক রেসিপি। আর তা যদি হয় ঝাল ঝাল হালিম আর মোগলাই পরোটা তাহলে তো কথাইইই… নেই –

 

 

 

 

হালিম:-

উপকরণ:

মাংস রান্না:  মাংস (গরু /খাসি) – ১কে জি (ছোট টুকরো করে কাটা)আদা, রসুন বাটা-২ টেবিল চামচ,  মরিচ গুড়া-১চা.চামচ,  জিরা গুড়া-১চা.চামচ,  হলুদ গুড়া -১ ১/২ চা চামচ,  তেল – ১/২ কাপ +২ টেবিল চামচ,  পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ,  লবণ – স্বাদ মত, তেজপাতা – ২ টা,  এলাচ – ৪-৫টা,  দারুচিনি – ২ টুকরা ।

ডাল রান্না:  মুগ ডাল – ১/৪ কাপ, মুসর ডাল – ১/৪ কাপ,  বুটের ডাল – ১/৪ কাপ,  মাসকলাইর ডাল – ১/৪ কাপ,  মটর ডাল – ১/৪ কাপ,  পোলাওর চাল – ১/৪ কাপ,  গম – ১/৪ কাপ,  লবণ – স্বাদ মত।

হালিমের মসলা:  দারুচিনি – ১ টুকরো (২” লম্বা),  আস্ত ধনিয়া – ১ টেবিল চামচ,  জয়ত্রী – ২ টুকরো,  জয়ফল – অর্ধেক টা,  এলাচ – ৫-৬ টা,  রাধুঁনী – ১ চা চামচ,  শুকনো মরিচ – ৮ টা,  মৌরি – ১ চা চামচ,  মেথি ১ – চা চামচ,  আস্ত জিরা – ১ চা চামচ,  লবঙ্গ – ৭-৮ টা,  গোল মরিচ – ১ চা চামচ,  আস্ত কালো সরিষা – ১/২ চা চামচ,  হলুদ গুড়া – ১ ১/২ চা চামচ,  তেজপাতা – ১ টা।  এই সব উপকরণ চুলায় হালকা টেলে গুড়া করে নিতে হবে।

প্রণালি: পাত্রে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ হালকা বাদামি করে ভেজে এতে একে একে সব মসলা ও মাংস দিয়ে ভালো মত কসিয়ে সেদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিতে হবে।

সব ডাল, চাল ও গম ধুয়ে ২-৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরে পানি ঝড়িয়ে ব্লেন্ডারে আধা ভাঙ্গা করে ৬ কাপ গরম পানি, লবণ ও ১ টেবিল চামচ বানিয়ে রাখা হালিমের মসলা মিশিয়ে চুলায় বসাতে হবে। কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। একটু পর পর নেড়ে দিতে হবে। না হলে নিচে লেগে যাবে। ডাল সেদ্ধ হয়ে গেলে রান্না করা মাংসের হাড়িতে ঢেলে আরো ১ চা চামচ হালিম মসলা দিয়ে মিশিয়ে চুলায় অল্প আঁচে আরও ১০ মিনিট রেখে নামাতে হবে। পরিবেশনের সময় উপরে ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ কুচি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা ছড়িয়ে দিতে হবে গরম গরম হালিমে।

বি. দ্র:-  হালিম রান্নার সময় একটু ভারি পাত্র ব্যবহার করতে হবে। এতে ডাল নিচে লেগে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

 

মোগলাই পরোটা:-

উপকরণ:

ময়দা – ২ কাপ, তেল – ৪ টেবিল চামচ, লবণ – ১ চা চামচ, পানি – পরিমাণ মত,

পুরের জন্য:  কিমা – ১ কাপ (আদা, রসুন বাটা-১/৪ চা চামচ,  লবণ – পরিমাণ মত,  গরম মসলার গুড়া – ১/৪ চা চামচ ও তেল ২ টেবিল চামচ দিয়ে সেদ্ধ করা)

পেঁয়াজ কুচি – ১/৪ কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি – ১ টেবিল চামচ,  ধনে পাতা কুচি – ২ টেবিল চামচ,  চাট মসলা ১চা চামচ,  গরম মসলার গুড়া – সামান্য,  ডিম – ৪ টি।

প্রণালি:  ময়দা,  লবণ,  তেল ভালো ভাবে মিশিয়ে অল্প অল্প করে পানি দিয়ে নরম একটা ডো বানাতে হবে। এবং ৩০ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। এই ডো টা দুই ভাগে ভাগ করে একেকটা পাতলা রুটি বানাতে হবে। অন্য পাত্রে কিমা সহ পুরের সব কিছু মিশিয়ে রাখতে হবে। বেলে রাখা রুটির মাঝখানে অর্ধেকটা পুরের মিশ্রণ দিয়ে চার ভাজ করে (রুটির চারপাশ থেকে এনে পুরটা ঢেকে দিতে হবে) ডুবো তেলে হালকা আঁচে বাদামি করে ভেজে নিতে হবে।

– কিমা না দিলেও হবে। বেশির ভাগ হোটেল গুলো ডিম দিয়েই করে।

 

***মজাদার সব খাবার পেতে ভিজিট করুন***

https://foodpeon.com/kitchen/4018

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension