প্রধান খবরযুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের নামে মিম কয়েন, এক লাফে দাম উঠল ৩২ ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেবেন আগামীকাল রোববার। আর ঠিক তার এক দিন আগে নিজ নামে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সির মিম কয়েন বাজারে ছেড়েছেন তিনি। ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ‘$ (ডলার) ট্রাম্প’ এই মিম কয়েনের সার্বিক বাজারমূল্য ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আর ট্রাম্প এবং ট্রাম্পের কোম্পানিগুলোর মুনাফার পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপ্রত্যাশিতভাবে বাজারে আসা এই ‘$ ট্রাম্প’ ক্রিপ্টোকারেন্সি পুরো ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারকে চমকে দিয়েছে। মূলত ট্রাম্পের ব্যক্তিগত প্রভাব এবং তাঁর প্রশাসনে ক্রিপ্টোকারেন্সির উত্থানের প্রমাণই বহন করে এই বিষয়টি।

এটি ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির চরিত্রও প্রকাশ করে। যেখানে এমন কিছু তৈরি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর মূল্য ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

গত শুক্রবার রাতে ট্রাম্প ওয়াশিংটনে একটি ‘ক্রিপ্টো বল’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখান থেকেই তিনি তাঁর নিজস্ব মিম কয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সির উন্মোচন করেন। তাঁর ওয়েবসাইটে এটিকে ‘ট্রাম্পের একমাত্র অফিশিয়াল মিম’ কয়েন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে ট্রাম্পের নাম ব্যবহার করে একাধিক মিম কয়েন তৈরি হলেও এগুলোর কোনোটি তাঁর আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি। তবে এবার ‘$ ট্রাম্প’ তাঁর অফিশিয়াল ক্রিপ্টো মুদ্রা হিসেবে বাজারে এল।

ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারের তথ্য নিয়ে কাজ করা বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান কয়েনগেকোর তথ্যানুসারে, $ ট্রাম্পের একেকটি কয়েনের মূল্য রাতারাতি ৬০০ শতাংশ বেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বেলা ১১টার মধ্যে ৩২ ডলারের ওপরে ওঠে যায়। এর ফলে ট্রাম্পের এই মিম ক্রিপ্টোকারেন্সির মোট বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

কয়েনগেকো জানিয়েছে, এই মুদ্রার ৮০ শতাংশ মালিকানা ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সহযোগী সিআইসি ডিজিটাল এবং সিআইসির আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ফাইট ফাইট ফাইট এলএলসির হাতে। ফাইট ফাইট ফাইট নামটি এসেছে জুলাই মাসে ট্রাম্পের ওপর হামলার সময় তাঁর উচ্চারিত কথার অনুকরণে।

ট্রাম্পের অফিশিয়াল এই মিম কয়েনের শেয়ারগুলো তিন বছরের একটি ‘আনলকিং শিডিউলের’ অধীন থাকবে। যার ফলে এই সময়ের মধ্যে এসব কয়েনের শেয়ারের মালিকেরা পুরো মজুত একসঙ্গে বিক্রি করতে পারবে না।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ধারণা এবং এই শিল্পকে ট্রাম্প উষ্ণভাবেই গ্রহণ করেছেন। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি এটি ‘জাতীয় অগ্রাধিকার’ হিসেবে ঘোষণা করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন এবং তা হয়তো এই সপ্তাহেই তা হতে পারে। এর আগে কোনো রাজনীতিক তাদের সমর্থকদের সরাসরি অর্থায়ন করার উপায় দেননি। ট্রাম্প এই প্রথম সেই কাজটি করলেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension