
ঢাকায় বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত
ঢাকায় প্রগতি স্মরণি এলাকায় বাস চাপায় নাদিয়া সুলতানা (২১) নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করা গেলেও পালিয়ে যায় চালক।
রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া বারোটার দিকে প্রগতি স্মরণির যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে একই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বন্ধুর বাইকে চড়ে গন্তব্যে যাওয়ার পথে পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস। বাইকের পেছনে থাকা নাদিয়া ছিটকে পড়লে বাসের চাকা চলে যায় মাথার ওপর দিয়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাদিয়ার।
নাদিয়ার এক আত্মীয় বলেন, ওখানে যারা উপস্থিত ছিলো তারা জানিয়েছে নাদিয়া মোটরসাইকেলের পেছনে ছিলো। যখন বাস ধাক্কা দিয়েছে তখন সে পেছন থেকে পড়ে গেছে। ঠিক সে সময় ভিক্টর বাস তার ওপর দিয়ে উঠিয়ে দিয়েছে।
পরিবারের প্রথম সন্তান এবং তিন মেয়ের মধ্যেও বড় নাদিয়াকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা। দাবি বিচারের আওতায় আনা হোক ঘাতককে।
নাদিয়ার মা বলেন, আমি ওকে সকালে ফোন দিয়েছে তখন আমাকে জানিয়েছে সকালে ক্লাস নেই। আমি তখন বললাম আজকে ইজতেমার মোনাজাত তুই কোথাও যাস না।
দুর্ঘটনার পর বাসটিকে আটক করে জনতা। তবে পালিয়ে যায় বাসের চালক ও হেলপার।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম আছাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, উত্তরার দিক থেকে আসা ভিক্টর বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যান নাদিয়া। তবে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে, নাকি বাস থেকে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি ওই শিক্ষার্থী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত নাদিয়া নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার রাঙাবালি উপজেলায়।