আন্তর্জাতিকজাতিসংঘ

তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির আগেই ঝুঁকিতে খাদ্য নিরাপত্তা

প্রাক-শিল্পযুগের তুলনায় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির আগেই বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে পারে। সতর্ক করে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ বলছেন, জলবায়ু সংকটের প্রভাব, পানি সংকট ও টেকসই চাষাবাদের অভাব কৃষিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

কপ১৫ সম্মেলনে নেতৃত্ব দেয়া আইভেরি কোস্টের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যালাইন-রিচার্ড ডনওয়াহি সম্প্রতি বলেছেন, খরার প্রভাব ধারণার চেয়েও দ্রুত আকারে বিস্তৃত হচ্ছে।

তার মতে, খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে শুধু দরিদ্র দেশ নয়। ধনী-গরিব সবাই একই নৌকার বাসিন্দা। জলবায়ু পরিবর্তন, খরা, ঝড়, বন্যা জানে না কোনো সীমারেখা, কোনো দেশে যেতে ভিসা লাগে না।

জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এমন একটি মহামারী যার বিরুদ্ধে আমাদের দ্রুত লড়াই করতে হবে। আমাদের পূর্বাভাসের চেয়েও জলবায়ু পরিস্থিতির অবনতি দ্রুততর হচ্ছে। তাপমাত্রা আরো ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর আগে মাটির ক্ষয়, পানির ঘাটতি ও মরুকরণের মতো ভয়বাহ দূর্যোগ হতে পারে।

ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, তাপপ্রবাহ, তীব্র খরা ও বন্যার মতো সমস্যা অনেক অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অভিবাসন ও মুদ্রাস্ফীতির ওপর খরার প্রভাব রয়েছে।

দুর্বল চাষাবাদ পদ্ধতির সমালোচনাও করেন তিনি। ডনওয়াহির মতে, এ কারণে মাটির গুণমান নষ্ট হচ্ছে। এ অবক্ষয় ফলনকে প্রভাবিত করে।

বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ডোনওয়াহি জানান, উন্নত ফলন, বনায়নে বেসরকারি খাত কৃষি ও মাটির আরো ভালো ব্যবহার করতে পারবে। এখান থেকে তারা দ্রুত বিনিয়োগ ফিরে পারে।

বিশ্বের সরকারপ্রধানরা ১৯৯২ সালে মরুকরণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। ২০১৫ সালে প্যারিসে হয় জলবায়ু চুক্তি। পাশাপাশি নিয়মিত জলবায়ু সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও বেশির ভাগই মানা হচ্ছে না বলে দাবি বিভিন্ন গোষ্ঠীর।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension