
তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত কানাডা, শত শত ফ্লাইট বাতিল
কানাডায় আঘাত হেনেছে শীতকালীন তুষারঝড়। তুষারপাত ও হাড় হিম করা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত প্রায় সবগুলো রাজ্য। জবুথবু হয়ে পড়েছে নাগরিক জীবন। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ কয়েকশ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে দূরপাল্লার বাস ও রেল যোগাযোগ।
কানাডায় এখন শীতকাল চলছে। ডিসেম্বর, জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারি এই তিন মাস হলো শীত। এ সময় তাপমাত্রা থাকে খুবই কম। কোনো কোনো প্রদেশে চলে যায় হিমাঙ্কের ২০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড নিচে। আর পুরো শীতকালজুড়েই প্রচণ্ড তুষারপাত হয়। মাঝে মাঝেই ঘটে তুষারঝড়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, বুধবার (২৫ জানুয়ারি) প্রচণ্ড তুষারঝড় শুরু হয়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও
ভারি তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর। প্রতিটি শহরে প্রায় ২৫ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে।
সিবিসি জানিয়েছে, তুষারঝড়ের ফলে বাড়ির দরজায় দরজায় ও উঠানে এখন বরফের স্তুপ। চারপাশ সাদা বরফে ঢাকা। বাংলাদেশি অধ্যুষিত টরন্টো, রাজধানী অটোয়া, মন্ট্রিয়ল, ক্যালগেরি, সাস্কাচুয়ানসহ প্রায় সব কটি শহর এখন বরফে আচ্ছাদিত।
টরন্টো, মন্ট্রিয়ল, ভ্যাংকুভারসহ সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর বরফের কারণে কয়েকশ ফ্লাইট বাতিল করেছে। একইসঙ্গে বাস ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মাল পরিবহনে ট্রাক, লরি ও ভারী যানবাহন পথে আটকা পড়ে। তুষারপাতের কারণে এরইমধ্যে প্রায় ২ হাজার দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
তুষারপাত ও তুষার ঝড়ের কারণে বেশ কটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সারা রাত বরফ পরায় কর্মস্থল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে মারাত্মক অসুবিধায় পরতে হয়। বুক সমান বরফ থাকা পায়ে হেঁটে চলাচলও হয়ে পড়েছে বিপজ্জনক।
এ অবস্থায় বরফ সরানোর জন্য অত্যাধুনিক যানবাহন ও বিশেষ কর্মীবাহিনী রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে। হাইওয়েতে সব ধরনের যাবাহন চালকদের সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।