তেল উত্তোলনে চীনা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করছে তালেবান
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তেল উত্তোলনের জন্য চীনা একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে দেশটির তালেবান সরকার। ২০২১ সালে দেশটির ক্ষমতা দখল করার পর থেকে জ্বালানি অনুসন্ধানে বিদেশি কোনো কোম্পানির সঙ্গে তালেবানদের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হতে যাচ্ছে এটি। এটি হবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তালেবানের প্রথম কোনো বড় জ্বালানি উত্তোলন চুক্তি। চুক্তির মেয়াদ হবে ২৫ বছর।
এই চুক্তির আওতায় চীনের জিনজিয়াং সেন্ট্রাল এশিয়া পেট্রলিয়াম অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি (সিএপিইআইসি) আমু দরিয়া অববাহিকায় খনন কাজ চালাবে বলে জানিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে তামা খনিতে কার্যক্রম চালানো নিয়েও চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি কোম্পানির সঙ্গে তালেবান সরকারের আলোচনা চলছে।
ধারণা করা হয়, আফগানিস্তান প্রাকৃতি সম্পদে ভরপুর একটি দেশ; এখানে প্রাকৃতিক গ্যাস, তামা ও বিরল মৃত্তিকাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের মজুদ আছে যার মূল্য এক লাখ কোটি ডলারেরও বেশি। কিন্তু দেশটিতে দশকের পর দশক ধরে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলতে থাকায় এসব প্রাকৃতিক সম্পদের বেশির ভাগ উৎস থেকে এখনো উত্তোলন শুরু করা যায়নি।
আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসনকে চীন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে, দেশটির ব্যাপারে তাদের উল্লেখ করার মতো আগ্রহ আছে। কারণ, চীনের বেল্ট এন্ড রোড উদ্যোগের (বিআরআই) জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চলের কেন্দ্রে এর অবস্থান। ফলে আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের স্বার্থ জড়িত আছে।
তালেবানরাও ক্ষমতা দখলের পরপরই তাদের একটি প্রতিনিধি দলকে চীন সফরে পাঠিয়েছিল। গত মাসে কাবুলে চীনা ব্যবসায়ীদের ব্যবহার করা লনগান হোটেলে হামলার পর তালেবান সরকার ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদের আট সদস্যকে হত্যা ও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। ওই হামলায় তিনজন নিহত ও পাঁচ চীনা নাগরিকসহ ১৮ জন আহত হয়েছিল। এ থেকেই বুঝা যায় তালেবানরাও চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখে।