দুর্নীতি করে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেভন থমাস
ক্রিকেট দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ডেভন থমাস। সর্বমোট সাতটি অপরাধের তাকে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার সবগুলো অপরাধ স্বীকার করেছেন।
আইসিসি এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে, এর মধ্যে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগও আছে।
সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ক্রিকেটীয় আইন ভঙ্গ করেছেন থমাস।
এই ব্যাপারে আইসিসির ইন্টেগ্রিটি ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার সুবাদে অনেক দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন ডেভন। তিনি জানতেন, দুর্নীতিবিরোধী ধারা অনুসারে আবশ্যকীয়ভাবে কী কী পালনীয়। কিন্তু তিনটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সেটা তিনি পালন করতে ব্যর্থ হন।
এই নিষেধাজ্ঞা খেলোয়াড় এবং দুর্নীতিবাজদের জন্য এই বার্তাটা বহন করবে যে আমাদের খেলায় এটি কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হয়।’
যদিও ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই থমাস। ২০২৩ সালের মে মাসে যখন থমাসের বিরুদ্ধে চারটি দুর্নীতিবিরোধী আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়, তখনই তাকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
২০২১ এলপিএলে ক্যান্ডি ওয়ারিয়র্সের হয়ে একটি ম্যাচই খেলেন থমাস।
সেই ম্যাচেই ফিক্সিংসহ দুর্নীতি আইনের চারটি ধারা ভাঙেন তিনি। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আয়োজিত ২০২১ টি-টেন টুর্নামেন্টে দুর্নীতির একটি ধারা ভাঙেন তিনি। সিপিএলে ২০২১ ও ২০২২ সালের দুটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন থমাস। তার ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা গণনা হচ্ছে ২০২৩ সালের ২৩ মে থেকে। যদিও এই নিষেধাজ্ঞার শেষ ১৮ মাস স্থগিত থাকবে।