নাসরাল্লাহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা বললেন জো বাইডেন
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই হত্যাকাণ্ডকে অসংখ্য ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচারের একটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। এসব ভুক্তভোগীর মধ্যে হাজার হাজার আমেরিকান, ইসরায়েলি ও লেবাননের বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে হিজবুল্লাহ, হামাস, ইয়েমেনের হুতি ও যেকোনো ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থন করে। এ ছাড়া মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থান জোরদার করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে হাসান নাসরাল্লাহ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। এ ছাড়া তার মৃত্যুতে ইরানে পাঁচদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পড়া এক বিবৃতিতে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, হাসান নাসরাল্লাহ একক কোনো ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি ছিলেন একটি পথ ও একটি চিন্তাধারা। এই পথ অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, শহিদের রক্তের প্রতিশোধে ছাড় দেয়া হবে না।
হাসান নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ড ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আরও শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভুলে যাবে না যে এই সন্ত্রাসী হামলার নির্দেশ নিউইয়র্ক থেকে জারি করা হয়েছিল। তিনি সম্ভবত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের প্রতি ইঙ্গিত করে।
তিনি আরও বলেন, নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অস্বীকার করা সম্ভব নয়।