
নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স
নিউজিল্যান্ডের ৪১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ক্রিস হিপকিন্স। ৪৪ বছর বয়সী এ রাজনীতিক পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত।
বুধবার রাজধানী ওয়েলিংটনে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করেন হিপকিন্স। আজই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে তার।
নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ১৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন আরডার্ন। তার পদত্যাগের এক সপ্তাহের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেন হিপকিন্স।
২০০৮ সালে লেবার পার্টির সদস্য হিসেবে হিপকিন্স পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতা হন। পার্লামেন্টে যোগ দেয়ার আগে হিপকিন্স দুই শিক্ষামন্ত্রীর সিনিয়র উপদেষ্টা ছিলেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের অফিসেও দায়িত্ব পালন করেন।
২০২০ সালের নভেম্বরে তিনি কোভিডসংক্রান্ত মন্ত্রী নিযুক্ত হন। আরডার্নের নেতৃত্বে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সবার কাছে সুপরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন হিপকিন্স।
নিজ দক্ষতায় গত বছরের মাঝামাঝি পুলিশসংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন তিনি। এ ছাড়া শিক্ষা, জনসেবা মন্ত্রী এবং সংসদের নেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ‘চিপি’ বলে পরিচিত এই রাজনীতিক।
আরডার্নের পদত্যাগে নতুন নেতা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল লেবার পার্টির সদস্যদের যে সভা হয়, তাতে নিরঙ্কুশ সমর্থন পান হিপকিন্স। এখন প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসা হিপকিন্সকে আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনেও ক্ষমতা ধরে রাখার পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।