
গেল ৫ জুলাই সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের উডসাইড কুইন্স প্যালেস এ আয়োজন করা হয়। ভিন্ন ধাঁচের এই আয়োজনে প্রয়াত এই তিন কণ্ঠশিল্পীর সহকর্মী ও বন্ধুরা আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন। তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি সকলের সঙ্গে ভাগ করেন। জানান শ্রদ্ধা।
স্মরণসভার সঞ্চালক ছিলেন আলমগীর খান আলম। বক্তব্য নয়, স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা, বেবি নাজনীন এবং বাংলাদেশের আরেক জনপ্রিয় শিল্পী রিজিয়া পারভীন। এছাড়াও ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. চৌধুরী সারওয়ারুল হাসান, কমিউনিটি লিডার নাসির আলী খান পল, গীতিকার ইশতিয়াক আহমেদ রূপু, বাংলাদেশ সোসাইটির স্কুল ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট হাসান জিলানী, গোপাল স্যান্যাল, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বাচ্চু, শিল্পী শেফালি সারগম, নাজু আকন্দ প্রমুখ।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন শাহ্ মাহবুব, তানভীর শাহীন, আফতাব জনি, চন্দন চৌধুরী, রাজিব, রায়হান তাজ প্রমুখ।স্মরণসভার শুরুতে সকলে এই তিন গুণীশিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং শোক বইতে স্বাক্ষর গ্রহণ করেন।
আলমগীর খান আলম তার স্মৃতিচারণে বলেন, অ্যান্ড্রু কিশোর যখন অসুস্থ্ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তখন সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি তারাও সহযোগিতা করেছিলেন। অ্যান্ড্রু কিশোর সিঙ্গাপুর থেকে ফোনে সুস্থতার খবর জানিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাবার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশে ফেরার পর এক বছর যেতে না যেতে তার শরীরে আবারও ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। তিনি আইয়ুব বাচ্চু ও সুবীর নন্দীকে নিয়েও অনুষ্ঠান করার অভিজ্ঞতা জানান।
বেবি নাজনীন বলেন, আমাদেরও একদিন ডাক আসবে, আমাদেরও চলে যেতে হবে, এটা চিরন্তন সত্য। তবে যে তিনকে আমরা আজ স্মরণ করছি তারা ছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তী শিল্পী। বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
রিজিয়া পারভীন বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই সুবীরদার গান শুনতাম। এক অর্থে তিনি আমার ওস্তাদও ছিলেন। তার কাছ থেকে আমি রাগ শিখেছি। সুবীরদা আমাকে খুবই আদর করতেন। আর বাচ্চুভাইয়ের কারণেই আমি ব্যান্ডের গান শুনতে শুরু করি এবং তার ভক্ত হয়ে যাই। আমরা একসঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানও করেছি। নিউইয়র্কেও অনুষ্ঠান করেছি। কিশোরদার সঙ্গেও অনেক গান করেছি।