নিউ জার্সিতে সিটি কাউন্সিল অ্যাট লার্জ পদে জয়ী বাংলাদেশি
যুক্তরাষ্ট্রে মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ দিন দিন জোরালো হচ্ছে। রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। জর্জিয়া রাজ্য সিনেটে শেখ রহমান, নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে শাহানা হানিফ, সিটির জজ পদে সোমা সায়ীদ, নিউ জার্সির প্লেইন্স বরো কাউন্টিতে ড. নূরন নবী এবং ফেডারেল বিচারক পদে নুসরাত চৌধুরীর নাম সবার মুখে মুখে। এই তালিকায় সর্বশেষ নিউ জার্সি রাজ্যের প্যাটারসন সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে ‘সিটি কাউন্সিল অ্যাট লার্জ’ পদে জয়ী হয়ে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকান মো. ফরিদ উদ্দিন।
স্থানীয় সময় গত ১০ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে গিলমান চৌধুরী নামক আরেক বাংলাদেশি লড়েছেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। তারা দুজনেই সিলেটের গোলাপগঞ্জের সন্তান। প্যাটারসন সিটি কাউন্সিলের ‘সিটি কাউন্সিল অ্যাট লার্জ-এর তিন আসনের জন্য ভোট হয়েছে। চার বছর মেয়াদি এ নির্বাচনে প্যাটারসন সিটির মেয়র পদে পুনরায় জয়ী হয়েছেন আন্দে সায়েঘ। সিরিয়ান বংশোদ্ভ‚ত আন্দে তার সব প্রতিদ্ব›দ্বীর মোট ভোটেরও অধিক পেয়েছেন।
প্যাটারসনের হাইস্কুল শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিন বিজয় ছিনিয়ে নিতে নিজের সঞ্চিত ৫০ হাজার ডলার ব্যয় করেন। এটি হচ্ছে সিটি মেয়রের সমান্তরাল একটি পদ, অর্থাৎ পুরো সিটির উন্নয়ন-কল্যাণে মেয়রকে পরামর্শ দেবেন এবং নিজের পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়িত করার সক্ষমতা রাখবেন তিনি।
প্যাটারসন সিটির একটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলম্যান হিসেবে আগেই নির্বাচিত হয়ে আছেন শাহীন খালিক। তিনিও সিলেটের সন্তান। নিউ ইয়র্ক সিটিসংলগ্ন প্যাটারসনে বসবাসরত প্রবাসীদের ৮০ শতাংশ হলেন সিলেটের বাসিন্দা। রাজনীতির পাশাপাশি তারা সবাই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত। পেশাগতভাবে নতুন প্রজšে§র অবস্থানও সংহত। এখন তারা রাজনীতিও প্রশাসনে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হচ্ছেন।
ফরিদ উদ্দিন নিজের অনুভ‚তি ব্যক্ত করে বলেন, ‘এ বিজয় বাঙালির এবং এই সিটিতে বাংলাদেশিদের সামগ্রিক উন্নয়নকে আমি অবশ্যই প্রাধান্য দেব। বিরাজমান সমস্যার সমাধানে সাধ্যমতো চেষ্টা করব। নতুন প্রজšে§র এই উত্থানকে স্বাগত জানিয়ে ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স’-এর প্রেসিডেন্ট এম এ সালাম বলেন, ‘জাতিগতভাবে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, তাহলে প্যাটারসনের মেয়র পদটিও দখলে সক্ষম হব।’