
নেপালে বিধ্বস্ত বিমানের ৬৭ মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও ৫
নেপালে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন পাঁচ জন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) নেপালের পোখারা থেকে কাঠমান্ডুগামী ওই বিমানে ৭২ জন আরোহী ছিলেন। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় কাস্কি জেলায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এআরটি মডেলের বিমানটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বরতৌলা কাঠমান্ডু পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জ্ঞানেন্দ্র ভুল বলেছেন, সেতি নদীর ঘাটে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়।
সুদর্শন বরতৌলা সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা জানি না আদৌ সেখানে সেই জীবিত আছেন কি না। উদ্ধার অভিযান চলছে।’
নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, ‘বিমানটি ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে গেছে। আমরা আশঙ্কা করছি আরও মরদেহ উদ্ধার করতে পারব।’
এ দুর্ঘটনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল মন্ত্রিসভার জরুরি সভা আহ্বান করেছেন। পাশাপাশি সব রাষ্ট্রীয় সংস্থা উদ্ধার তৎপরতার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যাংকক পোস্টে বলা হয়েছে, আরোহীদের মধ্যে ৫৩ জন নেপালি, পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রুশ, দুইজন কোরীয় ছিলেন। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন ওই বিমানে।
নেপালে প্রায় বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এর জন্য বৈরি আবহাওয়া, চ্যালিঞ্জিং পাহাড়ি এলাকাকে দায়ী করা হয়।
এর আগে গত বছরের মে মাসে এক বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০১৮ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ৫১ জন নিহত হন।
১৯৯২ সালে নেপালে সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে। ওই ঘটনায় অন্তত ১৬৭ জন নিহত হন। এর ঠিক দুই মাস আগে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। তাতে ১১৩ জন নিহত হন।