
তুচ্ছ ঘটনায় পাবনার ঈশ্বরদীতে মামুন হোসেন (২৬) নামে এক রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুইজন। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিকশাচালক মামুন ঈশ্বরদী পৌর শহরের পিয়ারখালি মহল্লার মানিক হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন- পশ্চিমটেংরি পিয়ারখালী মহল্লার শরীফ উদ্দিনের ছেলে রকি হোসেন (২৬) ও বাবু হোসেনের ছেলে সুমন (২৫)। তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কাচারীপাড়া মোড়ে যাত্রীবাহী ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনার সামনের গ্লাস ভেঙে যাওয়ায় চালক ভটভটির গতিরোধ করে গ্লাস ভাঙার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত মামুন, রকি ও সুমন দুই চালকের বাগবিতণ্ডা থামাতে যান। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী রহিমপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ নুরুরের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০) ঘটনাস্থলে এসে মামুন, রকি ও সুমনসহ ভটভটি চালককে হুমকি দেন। এ ঘটনায় আনোয়ারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা।
কিছুক্ষণ পর আনোয়ারের সমর্থনে তিনটি মোটরসাইকেলে ৯ জন ও রিকশায় আরও দুজনসহ মোট ১১ জন এসে মামুন, রকি, সুমনসহ স্থানীয়দের ওপর পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় মামুন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর রকি ও সুমন গুরুতর আহত হন।
নিহত মামুনের মামা মনিরুল ইসলাম বলেন, বাগবিতণ্ডার সময় আনোয়ার হোসেন নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি ভটভটির চাঁদা আদায়ের সঙ্গে যুক্ত। আনোয়ার ঘটনাস্থলে এসে ভটভটি চালকের পক্ষ নিয়ে লেগুনাচালক ও এলাকার লোকজনের ওপর চড়াও হন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আনোয়ার আবার এসে পিস্তল দিয়ে মামুন ও সুমনকে গুলি করে ও আনোয়ারের সহযোগীরা রকিকে ছুরিকাঘাত করে। মামুনের তলপেটে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত রকি ও সুমনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রহিমা ফেরদৌসী বলেন, মামুন হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। সুমন ও রকিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের এরই মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।