
ইমন হোসেন
অবশেষে না পাওয়ার সব গল্প প্রত্যাহার করলাম,
প্রত্যাহার করলাম অপূর্ণতার সবগুলো পঙক্তিমালা,
হৃদয়ের মধ্য গগনে তুমি চাঁদ হয়ে ফুটে উঠতেই,
অস্তিত্বের প্রতিটি কণিকায় লিখিত হলো প্রাপ্তির গান!
প্রণয়ের তানপুরায়,
তন্ময়ী আবেশে বেজে ওঠে একটাই ধ্বনি,
পেয়েছি,শেষমেশ আমি তোমাকে পেয়েছি!
আকাশে তাকাতেই দেখি,
হিরন্ময় অক্ষরে লেখা-পেয়েছি,আমি আজ তোমাকে পেয়েছি।
লিলুয়া বাতাসে ভেসে আসে তুমিময় জীবনের সৌরভ,
ফুলেরাও আজ উচ্ছ্বসিত হয়ে জানায়,
দেখ,চেয়ে দেখ,তোমার বুকের বাগানেও আজ-
ফুটে আছে প্রেমের গোলাপ!
আমার প্রাপ্তির আনন্দে সমুদ্রে আজ জোয়ারের উৎসব,
অচেনা বনফুলটিও বললো,আমাকে না চিনলেও-
অবশেষে কোন একজন চিনেছে তোমায়!
সম্মিলিত ঐকতানে পাখিরাও গেয়ে ওঠে সমস্বরে,
পেয়েছে,নীড়হারা পাখিটিও শেষে নীড় খুঁজে পেয়েছে।
ঝর্ণারা ঘোষণা করেছে অনন্য ইশতেহার,
ওরা আমাদের বয়ে নিয়ে যাবে স্বর্গের মোহনায়!
সুখের বৃষ্টিতে প্লাবিত আজ বুকের সাহারা,
শ্রাবণ আমাদের আমন্ত্রণ দিয়েছে যুগল স্নানের!
সন্ধ্যার আকাশে শূন্যতায় ভাসা আমার নির্জনতম বন্ধু,
শুক-তারাটিও আজ অভিনন্দনের সুরে বলেছে,
“তোমার প্রাপ্তির আনন্দে আমিও অশ্রুসিক্ত,
অজস্র গ্যালাক্সির অগণিত নক্ষত্রে আমি ছড়িয়ে দেবো,
প্রেমহীন পৃথিবীর নিঃসঙ্গতম মানুষটিও-
খুঁজে পেয়েছে নিজস্ব মানুষ!”
উদ্ভিন্ন উচ্ছ্বাসে আজ উদ্বেলিত আমার তনু-মন,
পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু বিস্তৃত-
ভালোবাসার উৎসব!
আকাশ,বাতাস,পাহাড়,সাগর সবাই জেনেছে শেষে,
সবাই মেনেছে শেষে,
সবাই বলেছে আমায়,
পেয়েছি,আমিও আজ তোমাকে পেয়েছি!
পৃথিবীর ললাটে লিখে রাখলাম রঙিন আল্পনায়,
পেয়েছি,ভালোবেসে আমি তোমাকে পেয়েছি!