
ফরাসি সৌরভে বিধ্বস্ত পোল্যান্ড
ম্যাচের আগা-গোড়া আলো ছড়ালেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আগুন ঝরিয়েছেন অলিভার জিরার্ড। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি নাটকে রবার্ট লেভানডফস্কি গোল পেলেন ঠিকই। কিন্তু লড়াই করার জন্য তাও যথেষ্ট ছিল না। ফরাসি সৌরভে স্রেফ খড়কুটোর মতো উড়ে গেল পোল্যান্ড।
আজ রোববার রাতে লেভানডফস্কির পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। জোড়া গোল করেছেন এমবাপ্পে। এক গোল করে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড গড়েছেন জিরার্ড। দুর্দান্ত এই জয়ে কাতার বিশ্বকাপের তৃতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কাটল ডিফেন্ডিয় চ্যাম্পিয়নরা।
দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুর দিকটায় অবশ্য ফ্রান্সের সঙ্গে ভালোই লড়াই করেছে পোল্যান্ড। লম্বা সময় গোলখরায় ভোগালেও শেষ পর্যন্ত ফরাসিদের দুরন্ত আক্রমণভাগকে আর আটকে রাখতে পারেননি পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি।
৪৪ মিনিটে জিরার্ডের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ৭৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ডাবলস পূরণ কলেন পিএসজি সুপারস্টার। এবারের বিশ্বকাপে এমবাপ্পের গোল এখন পাঁচটি। গোল্ডেন বুট জয়ে তিনিই এখন দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে গেলেন।
ম্যাচটা শেষ বাঁশির অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফরাসি ডিফেন্ডার হ্যান্ডবল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টি সিদ্ধান্ত জানান রেফাফি। কিন্তু লেভার পেনাল্টি শট নেওয়া নিয়ে হলো নাটক। দুইবার শট নিয়ে জালের দেখা পেয়েছেন পোল্যান্ড অধিনায়ক। তার প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন ফ্রান্স গোলরক্ষক হুগো লরিস।
কিন্তু ওই শট বাতিল করে দেন রেফারি। কারণ লেভা শট নেওয়ার আগেই ফরাসি ডিফেন্ডাররা ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে দৌড় শুরু করেন। পরে দ্বিতীয় দফায় আর লেভাকে ফেরাতে পারেননি লরিস। এবারের আসরে এটা লেভার দ্বিতীয় গোল।গোলটা পোল্যান্ডের বিদায়ের সান্ত্বনাও বলা যায়।
আগামী শনিবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড কিংবা সেনেগাল।