
বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের জন্যে ৩৫ কোটি নতুন বই
কাগজ সংকট, ছাপা সরঞ্জামের মূল্যবৃদ্ধি, বই ছাপার কার্যাদেশে দেরিসহ নানামুখী সংকট কাটিয়ে বছরের প্রথম দিনেই বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেয়ে মহা খুশি খুদে শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিক স্তরের ও গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাধ্যমিক স্তরের বই উৎসব হয়।
প্রাথমিকের বই উৎসবের উদ্বোধন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত প্রমুখ।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ড কাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্ট থেকে উঠে আসা নারী ফুটবলার স্বপ্না রাণী, সাথী বিশ্বাস, সাজেদা খাতুন ও সোহাগী কিসকু উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এই চার নারী ফুটবলারকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।
বই উৎসবে ঢাকা মহানগরীর ৩৪ বিদ্যালয়ের প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সেখানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ শিক্ষার্থীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বই তুলে দেয়া হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদেরকেও বই তুলে দেয়া হয়।
এ ছাড়া এদিন দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও বই উৎসব হয়েছে।
এদিকে গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ বই উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ।
মাধ্যমিকের বই উৎসবে কাপাসিয়া উপজেলার ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের ৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৫ হাজার স্কুলের শিক্ষার্থী। মাদ্রাসার ৬০০ আর কারিগরির ৪০০ জন শিক্ষার্থী বই উৎসবে অংশ নেয়।